অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতলো অস্ট্রেলিয়া


ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠ বারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতলো অস্ট্রেলিয়া
ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠ বারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতলো অস্ট্রেলিয়া

আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আয়োজক দেশ ভারত। ফাইনালে এসে শিরোপা তুলে দিলো অস্ট্রেলিয়ার হাতে। এই বছরের আইসিসি বিশ্বকাপে, ঘরের মাঠে, ফাইনালের আগে সব ম্যাচে অপরাজিত দল ভারত। রবিবারের (১৯ নভেম্বর) ফাইনাল ম্যাচে আর অপরাজিত থাকেনি তারা। স্বাগতিক ভারতকে হারিয়ে, ষষ্ঠবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতলো অস্ট্রেলিয়া।

বিশ্বকাপের এই মওসুমে, পর পর দুই ম্যাচে হেরে যায় অস্ট্রেলিয়া। এমন দুর্বল অবস্থা দিয়েই তাদের বিশ্বকাপ শুরু। তারপরও, ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জিতে নেয় তারা। আর তাদের এই জয় আসে ১ লাখ ৩০ হাজার ক্রিকেটপ্রেমীতে ভরা আহমেদাবাদ নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর অমিত শাহ। আর, তখন স্টেডিয়ামে আলো ছড়াচ্ছিলেন বলিউডের এক ঝাঁক তারকা।

ফাইনাল ম্যাচে টস জেতে অস্ট্রেলিয়া। এরপর, তারা প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় পরাক্রমশালী প্রতিপক্ষ ভারতকে। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার প্রাণান্তকর চেষ্টা সত্বেও, ভারত শক্ত ভিত গড়তে ব্যর্থ হয়। প্রথমেই সাজঘরে ফিরে যান শুভমান গিল; আউট হন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক-এর হাতে। শত রান সংগ্রহ করার আগেই ভারত আরো দুই ব্যাটারকে হারায়।

এই বিশ্বকাপে, ভারতের তারকা ব্যাটার ছিলেন বিরাট কোহলি। তিনি এককভাবে এবার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আর, পূর্বসুরী শচীন তেন্ডুলকারের ওয়ানডে রেকর্ড স্পর্শ করেছেন তিনি। তারকা বিরাট কোহলিও সাজঘরে ফিরে যান ৫৬ রান সংগ্রহ করে। তার এই সংগ্রহ দিয়েও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারত এমন কোনো রান স্কোর গড়তে পারেনি, যা অজিদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এই পর্যায়ে, লোকেশ রাহুলের সংগ্রহ ছিলো ৬৬ রান। স্টার্ক ৫৫ রানে তিন উইকেট নেন। আর জোস হ্যাজেলউড ও প্যাট কামিন্স নেন দুটি করে উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে, অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ওভারেই তাদের প্রথম উইকেট হারায়। এই পর্যায়ে, ডেভিড ওয়ার্নারকে সাজঘরে পাঠান, এই বিশ্বকাপে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বোলার মোহাম্মদ শামি। এই ধারাবাহিকতায়, জাশপ্রীত বুমরাহ শিকার করেন আরো দুই উইকেট।

এদের মধ্যে একজন স্টিভেন স্মিথ। বুমরাহ একটি এলবিডব্লিউ’র আবেদন করলে, স্মিথ তা আর রিভিউ করতে চাননি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি অফ-স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যাচ্ছে। এর অর্থ হলো, স্মিথ রিভিউ করলে হয়তো এ যাত্রায় টিকে যেতেন। এই ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ১০ ওভারে তিনজন ব্যাটারকে হারায়।

শেষ পর্যন্ত ট্রাভিস হেড ক্রিচে অটল থাকেন এবং একটি শতক তুলে নেন তিনি। তার এই শতক, বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে দ্বিতীয়। এর আগে, এমন স্কোর করেছিলেন অরবিন্দ ডি সিলভা। হেড-এর এই স্কোর অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের জন্য সুবিধা জনক অবস্থানে নিয়ে যায়।

এদিকে, হেড-এর পার্টনার মারনাস লাবুশানে একটি হাফ-সেঞ্চুরি করেনে। তাদের পার্টনারশিপের হাত ধরে আসে ১৯২ রান। এটাও একটা রেকর্ড, এটি বিশ্বকাপ ইতিহাসে ফাইনালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ। সব শেষে, ৪২ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেট হাতে রেখে, ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বিজয়সূচক রানটি সংগ্রহ করেন। তখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উপস্থিত ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শক রুদ্ধশ্বাসে তা অবলোকন করেন। স্মরণ করা যেতে পারে যে, বিশ্বকাপ ক্রিকেটের এই মওসুমে ম্যাক্সওয়েল আফগানিস্থানের বিপক্ষে ম্যাচে ডবল সেঞ্চুরি করেন।

XS
SM
MD
LG