যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং অন্যান্য কিছু মিত্র লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে আন্তর্জাতিক শিপিং-এ হুথিদের কয়েক ডজন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির ক্ষমতায় প্রচন্ড ভাবে আঘাত করার জন্য একের পর এক শক্তিশালী বিমান হামলা চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনের শেষে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত অংশে কমান্ড এন্ড কনট্রোল নোড, যুদ্ধাস্ত্রের ডিপো, লঞ্চিং সিস্টেম এবং উৎপাদন স্থাপনাসহ ১৬টি স্থানে ৬০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে সিরিজ হামলা চালানো হয়েছে।
কোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে তা উল্লেখ না করে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন যোদ্ধা নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছে।
প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নেদারল্যান্ডস এবং বাহরাইনের সহায়তায় পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের হামলাগুলো ফাইটার জেট, সারফেস ভেসেল এবং সাবমেরিন থেকে করা হয়েছিল।
কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হুথি স্থাপনাগুলোতে ১০০টির বেশি গাইডেড যুদ্ধাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এছাড়া লক্ষ্যবস্তুগুলো চিহ্নিত করতে নৌবাহিনীর জাহাজ এবং সাবমেরিনগুলো টমাহক ল্যান্ড এটাক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, জাহাজ চলাচলের প্রতি তাদের হুমকি এবং বেসামরিক উপস্থিতির অভাব- উভয় কারণ মাথায় রেখেই লক্ষ্যগুলো বাছাই করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই হামলাকে আন্তর্জাতিক নৌ চলাচলে “নজিরবিহীন হুথি হামলার সরাসরি” প্রতিক্রিয়া বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, কূটনীতির প্রচেষ্টা উপেক্ষা করার পরে এটির প্রয়োজন ছিল।
একইভাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক হুথি হামলার মাধ্যমে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বৃহস্পতিবারের হামলায় ব্রিটিশ ফাইটার জেটের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র জানায়, নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে ২৭ টি হামলা করা হয়েছে, যাতে ৫০টির বেশি দেশের নাগরিক, পণ্যসম্ভার ও জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভয়েস অফ আমেরিকা ইউক্রেন বিভাগের ওস্টাপ ইয়ারিশ এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।