অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানের সামরিক শক্তির উত্থান হয়েছে, বলছেন আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি


আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি। ফটোঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৪।
আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি। ফটোঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৪।

গত সপ্তাহে ইসরায়েলের উপর ব্যাপক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর জনসমক্ষে প্রথম বক্তব্যে, ইরানের প্রধান নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি তাদের ‘সাফল্যের’ জন্য দেশের সামরিক বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

রবিবার ইরানের সামরিক কমান্ডারদের সাথে এক বৈঠকে খামেনি “সাম্প্রতিক ঘটনায় সাফল্যের” জন্য সামরিক বাহিনীর প্রশংসা করেন। তিনি ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলের উপর আকাশ পথে ইরানের আক্রমণের কথা বলছিলেন।

“সশস্ত্র বাহিনী তাদের শক্তি এবং সক্ষমতার ভাল চিত্র এবং ইরানি জাতির একটি প্রশংসনীয় ভাবমূর্তি তুলে ধরেছে,,” খামেনি বলেন। “তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইরানি জাতীর শক্তির উত্থান প্রমাণ করেছে।”

ইসরায়েল বলেছে, তারা তেহরানের নিক্ষেপ করা ৩০০’র বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রর ৯৯ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র আর অন্যান্য মিত্রদের সহায়তায় ভূপাতিত করে। বাকিগুলো থেকে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ইসরায়েল এবং তার মিত্রদের হাতে ইরানের হামলা প্রতিহত হবার বিষয়টি হাল্কা করে দেখে খামেনি বলেন, “কয়টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে আর কয়টা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে, সেটা মুখ্য বিষয় না।”

“মুখ্য বিষয় হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানি জাতী এবং সশস্ত্র বাহিনীর আত্মশক্তির উত্থান,” খামেনিকে উদ্ধৃত করে তাঁর সরকারি ওয়েবসাইটে বলা হয়।

তেহরানের কাছে কুদস শহরের প্রবেশ পথে জেরুসালেমের আল আকসা মসজিদের আদলে তৈরি মসজিদের সামনে একটি ক্ষেপণাস্ত্রর মডেল। ফটোঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৪।
তেহরানের কাছে কুদস শহরের প্রবেশ পথে জেরুসালেমের আল আকসা মসজিদের আদলে তৈরি মসজিদের সামনে একটি ক্ষেপণাস্ত্রর মডেল। ফটোঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৪।

ইসরায়েলি হামলা 'খেলনা'

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবারের ইসরায়েলি পাল্টা হামলাকে খাটো করে দেখেন। ইসরায়েলি হামলায় ব্যবহার করা অস্ত্রকে তিনি বাচ্চাদের খেলনার সাথে তুলনা করেন।

“গত রাতে যে হয়েছে সেটা কোনরকম আক্রমণ ছিল না,” পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরআব্দোল্লাহিয়ান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেয়ার সময় টেলিভিশন চ্যানেল এনবিসিকে বলেন।

“সেগুলো ড্রোন ছিল না – সেগুলো মনে হয় খেলনা ছিল যা দিয়ে আমাদের বাচ্চারা খেলে,” তিনি বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ইসরায়েল কোনও উল্লেখযোগ্য আক্রমণ না করলে ইরানের পাল্টা হামলা করার কোনও পরিকল্পনা নেই।

তাঁর মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ফলে গোটা অঞ্চলে সর্বাত্মক যুদ্ধ বাঁধার ভয় কমাতে সাহায্য করেছে।

ইসরায়েলের শুক্রবারের হামলা, যেটা খামেনিও খাটো করে দেখছেন, ছিল ইসরায়েলের উপর ইরানের ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব। ইরান তার হামলা চালায় সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কূটনৈতিক ভবনে ১ এপ্রিল বিমান হামলার জবাবে। এই হামলায়, যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করা হয়, ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড বাহিনীর সাতজন সদস্য নিহত হয়।

এই রিপোর্টের কিছু তথ্য দ্য এসোসিয়েটেড প্রেস, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে

XS
SM
MD
LG