বাংলাদেশে সবুজ শক্তি (গ্রিন এনার্জি), বিশেষ করে বায়ু এবং বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে অস্ট্রিয়া। পাশাপাশি, ঢাকায় একটি বাণিজ্য অফিস খোলার প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন অষ্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ।
বৈঠকে, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অস্ট্রিয়ার বিনিয়োগ বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করে উভয় পক্ষ। এক্ষেত্রে, বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের ভ্রমণ বাড়াতে এবং দ্বৈত কর এড়ানোর জন্য প্রস্তাবিত চুক্তিটি দ্রুত সইয়ের ওপর জোর দেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শিগগিরই বাংলাদেশে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল পাঠানো, ঢাকায় একটি বাণিজ্য অফিস খোলা এবং অভিবাসন ও জন-যোগাযোগ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করতে সম্মতি প্রকাশ করেন আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ।
অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, অভিবাসন ও গতিশীলতা, জলবায়ু পরিবর্তন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ পরবর্তীকালে বাণিজ্য সুবিধার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো গভীর করতে সম্মত হন উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশের আইসিটি পেশাদাররা, অস্ট্রিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোতে অবদান রাখতে সক্ষম বলে উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ।
অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যালেনবার্গের সঙ্গে মিয়ানমার, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের পরিস্থিতিসহ দক্ষিণ এশিয়া, ইউরোপসহ আঞ্চলিক উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিষয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এ সময় মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে সহায়তার আহবান জানান তিনি।
হিউম্যানিটি অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অফ রেগুলেশন শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে ভিয়েনাতে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।