অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অংশীদারিত্ব জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সফর করছেন যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী ট্রেভেলিয়ান


যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দফতরের খন্দকার মাসুদুল আলম। ৭ মে, ২০২৪।
যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দফতরের খন্দকার মাসুদুল আলম। ৭ মে, ২০২৪।

দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার (৭ মে) ঢাকায় এসেছেন যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান। এই সফরের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও অভিবাসন অংশীদারিত্ব জোরদার করা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন এ কথা জানিয়েছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী-কে স্বাগত জানান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দফতরের উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সফরকালে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া, তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তার আরো কিছু সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকায় অবস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশন এক ঘোষণায় জানিয়েছে, অভিবাসন, অর্থনৈতিক সংস্কার ও নিরাপত্তাসহ অগ্রাধিকার খাতে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।

ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান দ্বিতীয় বার বাংলাদেশ সফর করছেন। এই সফরে তিনি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন।

বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠকে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ অভিবাসন সহযোগিতা, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যের সমর্থন নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতা, মানবিক নেতা ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠন এবং রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির ভিত্তি হিসেবে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরবেন।

XS
SM
MD
LG