অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তানে গোলযোগপূর্ণ প্রদেশে তালিবান গাড়িবহরে বোমা হামলা, নিহত ৩


সশস্ত্র তালিবান নিরাপত্তা কর্মীরা ২০২৪ সালের ৬ মে বাদাখশান প্রদেশের আরগো জেলায় একটি গম ক্ষেতের উপর দিয়ে হাঁটছেন। ফাইল ছবি।
সশস্ত্র তালিবান নিরাপত্তা কর্মীরা ২০২৪ সালের ৬ মে বাদাখশান প্রদেশের আরগো জেলায় একটি গম ক্ষেতের উপর দিয়ে হাঁটছেন। ফাইল ছবি।

আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গোলযোগপূর্ণ বাদাখশান প্রদেশে বুধবার বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে তিনজন তালিবান নিরাপত্তা কর্মী নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও হাসপাতালের কর্মকর্তাসহ একাধিক সূত্র হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, প্রাদেশিক রাজধানী ফয়জাবাদে তালিবানের সামরিক বহরে মোটরসাইকেলে লাগানো একটি “ঘরে তৈরি আঠালো বিস্ফোরক অস্ত্র” আঘাত হানে।

তালিবানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর একটি ইউনিটকে লক্ষ্য করে বোমাটি ছোঁড়া হয়। ওই ইউনিটটি আফিম গাছ ধ্বংস করতে অবৈধ আফিম ক্ষেতের দিকে যাচ্ছিলো। মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি বলেন যে এই হামলাটির ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

তালিবান কর্তৃপক্ষের আফিম নির্মূল অভিযানের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন সহিংস গণবিক্ষোভের কবলে থাকা বাদাখশানে বোমা হামলার দায় কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। গত শুক্রবার তালিবান নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে দুজন বিক্ষোভকারী নিহত হন।

তালিবানের সেনাপ্রধান ফাসিহউল্লাহ ফিতরাত এক ভিডিও বার্তায় বিক্ষোভরত কৃষকদের অভিযোগ নিয়ে কথা বলার এবং অস্থিরতা নিরসনের একদিন পর বুধবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। তিনি আফিম গাছ নির্মূলে জনসমর্থন আদায়ের ওপর জোর দেন।

প্রদেশটিতে সফরের আগে তালিবান সেনাপ্রধান হুমকি দিয়েছিলেন যে, বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে সামরিকভাবে ‘বিদ্রোহ দমন’ করা হবে। তিনি আফগানিস্তানে আফিম চাষ নির্মূলে তার সরকারের সংকল্পের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং যাই হোক না কেন, এই লক্ষ্য অর্জনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

দেশের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার পর তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আকুন্দজাদা পপি চাষ, উৎপাদন, ব্যবহার, পরিবহন এবং অবৈধ মাদকের ব্যবসার ওপর দেশব্যপী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
তবে অবনতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং আফিম চাষীদের জন্য বিকল্পের অনুপস্থিতির কারণে আফগানিস্তানের কিছু অংশে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, আফিম চাষের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে দারিদ্র্যপীড়িত আফগানিস্তানে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে এবং কৃষকদের আয় ১৩০ কোটি ডলার কমে গেছে।



XS
SM
MD
LG