অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তানের বিষয়ে পরিস্কার একটি পরিকল্পনা হওয়া দরকার


২০০৮ সালে বারাক ওবামার প্রথম নির্বাচনী প্রচারণার সময় বলা হতো ইরাক অভিযানের কারনে আফগানিস্তান যুদ্ধকে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। 'আর সেই কারনে আমি প্রেসিডেন্ট হয়ে আল কায়েদা ও তালিবানের বিরুদ্ধে অভিযানকে প্রথম গুরুত্ব দেবো; এবং জয়লাভ করবো'।

তার ৮ বছর পর আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ১ লক্ষ সেনা সদস্য লড়েছে, ১০ হাজারের মতো ফেরত আনা হয়েছে এবং কিছুটা বিজয় এসেছেও। আফগান সরকার এখনো সংগ্রাম করে চলছে তালিবানের সঙ্গে লড়তে। এখন ওবামা বলছেন তাঁর উত্তরসূরী এ বিষয়ে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেবেন।

1
1

ডেমোক্রটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারী ক্লিনটন কিংবা রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প; দুজনের কেউই এ ব্যাপারে তাদের কোনো পরিকল্পনার কথা বলছেন না। আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী কমিয়ে আনার হঠাৎ সিদ্ধান্ত জানানো হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা সেখানে কমেনি। প্রসিডেন্ট ওবামা আফগান নিরাপত্তা বাবদ ২০১৭ সালের জন্যে ৩৪৫ কোটি ডলার বাজেট চেয়েছেন।

হিলারী ক্লিনটন বলেছেন তিনি তা সমর্থন করেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হলে এ বিষয়ে কি করবেন তা বলেন নি।

ডনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তান বিষয়ে কিছুটা ষ্পষ্ট কথা বলেছেন। মাঝে মধ্যে বক্তৃতায় তিনি আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্নভাবে সেনা প্রত্যাহারের আভাষ দিয়েছেন। গত অক্টোবরে সিএনএনে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন অফগানিস্তান যুদ্ধ একটি ভুল সিদ্ধান্ত। তবে গত মাসে সিএনএনকেই আবার বলেন আফগানিস্তান যুদ্ধ নয়, ইরাক যুদ্ধ ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।

2
2

আফগানিস্তান নিজে কি চায়। এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় গত মাসে ওয়ারসোতে নেটো কর্মকর্তা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠকের পর আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির বক্তব্যে। যৌথ বিবৃতিতে তিন বলেন আফগানিস্তানের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা ও স্থিতির জন্যে আফগানিস্তান একা নয়। ঘানি বলেছেন, ‘আমরা অপনাদের সহায়তায় এগিয়ে চলবো’। তার মানে তিনি সহায়তা চান।

বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বিশ্লেষকদের মধ্যেও। তবে সকলেই ষ্পষ্টভাবে যে কথাটি বলছেন তা হচ্ছে- আফগানিস্তানের বিষয়ে পরিস্কার একটি পরিকল্পনা হওয়া দরকার।

XS
SM
MD
LG