রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে নিজ দেশের অন্তত দু’শ নাগরিককে হত্যা করেছে সুদান সরকার। এর মধ্যে কয়েক ডজন শিশুও রয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সর্বশেষ এক গবেষণা রিপোর্টে এই মর্মস্পর্শী তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ১৩ বছর ধরে সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই চলছে সুদানে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত অ্যামনেস্টির রিপোর্টে বলা হয়, কৃত্রিম উপগ্রহের ছবি থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত একশ’ ৭১টি গ্রাম ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অ্যামনেস্টির আট মাস ধরে চালানো তদন্তে উঠে আসে দারফুরের প্রত্যন্ত অঞ্চল জেবেল মারায় এক ঝলসানো দুনিয়া, গণহারে ধর্ষণ, হত্যা ও বোমা বর্ষণের চিত্র। গবেষকরা ৫৬ জন প্রত্যক্ষদর্শী পেয়েছেন। যারা বলছেন, সুদানের সামরিক বাহিনী অন্তত ৩০ বার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। অ্যামনেস্টির গবেষণা পরিচালক তিরানা হাসান বলেছেন, এই ধরনের হামলার ব্যাপকতা ও নৃশংসতা ভাষায় প্রকাশ করা খুব কঠিন। গবেষণার সময় যেসব ছবি ও ভিডিও তারা দেখেছেন, তা বিপন্ন মানবতার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। নিরাপত্তা পরিষদকে এসব ঘটনার তাৎক্ষনিক তদন্ত ও বিচারের আহবান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি। বিশেষ করে দারফুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শান্তিরক্ষী ও মানবিক ত্রাণবাহী সংস্থাগুলোর প্রবেশাধিকার আদায়ের কথা বলেছে সংস্থাটি। ওদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত সুদানের রাষ্ট্রদূত ওমার দাহাব ফাদল মোহাম্মদ ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও সাজানো বলে বর্ণনা করেছেন।
লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।