আল ক্বায়দা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট বা আকিসের বাংলাদেশি শাখা আনসারুল ইসলাম , অনলাইন সক্রিয়বাদী, ব্লগার এবং আইনের ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদের ‘বর্বর হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে সাইট গোয়েন্দা গোষ্ঠি জানিয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দফতরের উপ-মুখপাত্র মার্ক টোনার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে সহিংস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে। মুখপাত্র বলেন, সহিংস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের লড়াইয়ে দেশটির জনগণের প্রতি দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত থাকবে। নাজিমুদ্দিন জানতেন এবং বাংলাদেশের ইতিহাস প্রমাণ করেছে যে, সহিংসতা বাংলাদেশের মুক্ত ও স্বাধীন মতামত প্রকাশকে পরাস্ত করতে পারবে না। উপ-মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেন, সন্ত্রাসবাদ, সহিংস জঙ্গীবাদ বিরোধী লড়াইয়ে এবং এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন জানাবে। এদিকে বার্তা সংস্থা এপি এক খবরে বলেছে, তৎক্ষণিক বিপদের মুখে থাকা এমন কয়েকজন ব্লগারকে আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জাইয়ীদ রাদ আল-হুসেইন দেশে সক্রিয় জঙ্গীবাদী কার্যক্রমের হুমকিতে যারা রয়েছেন তাদের রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন, এক বিবৃতিতে। গণজাগরণ মঞ্চ সমাবেশ মিছিল করেছে।
২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত সাতজন ব্লগার, অনলাইন সক্রিয়বাদী এবং প্রকাশককে হত্যা করা হয়েছে। সবশেষ বুধবার রাতে হত্যা করা হলো অনলাইন সক্রিয়বাদী নাজিমুদ্দিন সামাদকে। আর প্রতিটি হত্যাকান্ডের পেছনে জঙ্গিদের হাত রয়েছে-এমনটাই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ইসলাম কি এ ধরনের হত্যাকান্ডের অনুমোদন দেয়? এ বিষয়ে বিশ্লেষন করেছেন কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদিস ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক, গ্রন্থাকার ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর এবং লালবাগ জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস এবং ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ। তারা দুজনেই বলেন, ইসলাম কোনো হত্যাকান্ড এবং জঙ্গীবাদের অনুমোদন দেয় না।
একেক পর এক ব্লগার অনলাইন সক্রিয়বাদী হত্যায় সাধারণ মানুষও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
এদিকে, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
এখন পর্যন্ত নাজিমুদ্দিনের হত্যাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।.