অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হ্যালো ওয়াশিংটন: মিশরের নির্বাচন : সে দেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ


আমরা জানি যে মিশরে গত এক বছরের ও বেশি সময়ে রাজনৈতিক চড়াই উৎরাই এবং বলাই বাহুল্য জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে , মিশরে এই প্রথম , যাকে বলা হচ্ছে গণতান্ত্রিক নির্বাচন, তার মাধ্যমে জয়ী হয়েছেন , ইসলাম পন্থিদল মুসলিম ব্রাদারহুডের মোহাম্মদ মোরসি, তার নিকটতম প্রতিদ্বান্দ্বি মনে করা হয় সামরিক বাহিনী সমর্থিত আহমেদ শফিককে পরাস্ত করে। মি মোরসি এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুসলিম ব্রাদারহুড এবং তার ফ্রিডম ও জাস্টিস পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং এক ধরণের ঐকমত্যের সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও মহিলাদের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি ও দিয়েছেন। তবে তাঁর সামনে চ্যালেঞ্জ আছে নানান দিক থেকে। মিশরের শক্তিশালি সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে যেমন, তেমনি হয়ত মুসলিম ব্রাদারহুডের তরফ থেকেও, যাদের ভোটে তিনি নির্বাচিত । এই বিপরীত মেরুর চাপের মুখে মোরসি কতটা এগুতে পারবেন সেটাই হচ্ছে রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের মূল প্রশ্ন।

বিলুপ্ত সংসদ পুনর্বহালসহ যে সব বিষয় এখনও সেখানকার প্রশাসনিক আদালতের বিচারাধীন রয়েছে তার উপর মোরসির সাফল্য যে অনেকখানি নির্ভরশীল সে কথাও আলোচনায় উঠে আসে । মোরসি সেনাবাহিনী এবং যে দলের পক্ষ থেকে তিনি নির্বাচন জিতেছেন , তাদের মধ্যে ভারসাম্য কতটা বজায় রাখতে পারেন তার উপর তাঁর সাফল্য নির্ভর করছে । মুসলিম ব্রাদারহুডের নানান দল উপদল নির্বিশেষে মি মোরসি যে কট্টরপন্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন , তাতে একদিকে যেমন সেনাবাহিনীর সঙ্গে আপোষের একটা চেষ্টা লক্ষ্য করা যায় , অন্যদিকে ঠিক তেমনি এটাও প্রমাণ করে যে ঠিক ক্ল্যাসিকাল অর্থে ইসলামি মৌলবাদী দলগুলো এখন আর ততটা কট্টরপন্থি দল হিসেবে নিজেদের স্থাপন করে না যেমনটি করছে সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ার দলগুলো। অভ্যন্তরীণ , পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিসয়গুলো ও আলোচনায় উঠে এসছে।

আমাদের অতিথি প্যানেলে রয়েছেন , ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির পলিটিক্স ও গভর্ণমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক আলী রীয়াজ ।; রয়েছেন টেক্সাসের এএন্ড এম ইন্টারন্যাশনাল ইউিনভার্সিটির সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড মেহনাজ মোমিন । আরও রয়েছেন ম্যারিল্যান্ড থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ক বিশিষ্ট বিশ্লেষক ড সাইদ ইফতিখার আহমেদ ।

XS
SM
MD
LG