সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে পররাষ্ট্র বিষয়ে সাব কমিটির এক শুনানী হয়ে গেল। বিষয় ছিল অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মাঝে দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিমালার প্রাধান্য ও প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ। শুনানীর চেয়ারম্যান ছিলেন ওহায়োর রিপাবলিকান দলীয় কংগ্রেসম্যান স্টিভ শ্যাবট ।
বৈদেশিক নিতিমালা ও বৈদেশিক সহায়তা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র দফতরের এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারী রবার্ট ব্লেক জুনিয়ার, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তা বিভাগে এশিয়া দফতরের সহকারী প্রশাসক নিশা দেশাই বিসওয়াল, পররাষ্ট্র দফতরে আফগানিস্তান ও পাকিসতান বিষয়ে বিশেষ সহকারী প্রতিনিধি ড্যানিয়েল ফেল্ডম্যান ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার উপ পরিচালক ডনাল্ড সাম্পলার ।
এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারী রবার্ট ব্লেক বলেন – দক্ষিণ এশিয়ায় ১শো কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ বাস করেন ।
‘যেখানে মোট অভ্যন্তরীন উত্পাদন মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ । সেখানে প্রায় ১ চতুর্থাংশের বয়স ২৫ বছরের কম এবং এবং দিনে ২ ডলারে দিন যাপন করে থাকে’ ।
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ ভারত, বাংলাদেশ – পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, ভুটান সব দেশেই গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত নেতারা দেশ শাসন করছেন । এবং এ থেকে আভাষ পাওয়া যায় যে, ভারতের সফল গনতন্ত্র ওই অঞ্চলে এক কার্যকর আদর্শ হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে’ ।
এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারী ব্লেক বাংলাদেশের উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে ১৬ কোটি মানুষের এক গনতান্ত্রিক ও মধ্যপন্থী মুসলিম দেশ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ জড়িত । বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু প্রতিষ্ঠান যেমন সেভরনের মত কোম্পানীর ওপর নির্ভর করে, এ হচ্ছে অন্যতম বৃহত্ বিনিয়োগকারী বিদেশী কোম্পানী ।
বাংলাদেশ তার অভন্তরীন প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়ে কিছু প্রশ্ন সত্ত্বেও – যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে, যার মধ্যে রয়েছে, সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম, খাদ্য নিরাপত্তা, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য বিষয়, জলবায়ূ পরিবর্তন এবং আশা করা যায় যে বাংলাদেশ ২০১৫ সালের মধ্যে সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে’।