লিবিয়ায় বিক্ষোভ আন্দোলন পরিস্থিতির দিনে দিনে অবনতি হচ্ছে । বুশ প্রশাসন যখন লিবিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার উদ্যোগ গ্রহণ করে, সেইসময় ডঃ বেনজামিন বারবার লিবিয়ায় বিভিন্ন কাজ কর্ম করেছেন । পশ্চিমের সঙ্গে লিবিয়ার সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন লিবিয়া যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও বৃটেনের সঙ্গে তার সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেছে । তার আগে কিন্তু ২০০৩ সালে সে তার অস্ত্র সম্ভার - রাসায়নিক অস্ত্র, জৈব অস্ত্র, সব শক্তি পরিত্যাগ করার কথা বলে । তিনি বলেন, ‘লিবিয়া আন্তর্জাতিক বাজারে অংশ গ্রহণ করার আগ্রহ দেখায় । পশ্চিমে তার তেল বিক্রি করতে চায়, এবং আলকায়দার বিরুদ্ধে পশ্চিমের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে এগিযে আসে । তখন টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বে বৃটিশ সরকার, এবং বুশ প্রশাসন লিবিয়ার উদ্যোগে অনুকুল সাড়া দেন । এবং সেই ২০০৩ সাল থেকে প্রায় ৮-৯ বছর অব্যাহত অগ্রগতি দেখা যায় ।
প্রফেসার বারবার বলেন, এইসময় একজন স্কলার হিসেবে, গণতন্ত্র ও সুশীল সমাজের নিরপেক্ষ প্রবক্তা হিসেবে আমি দেখার চেষ্টা করি যে এই অস্বাভাবিক এক পরিস্থিতিতে দূর্বৃত্ত এক রাষ্ট্র বলে পরিচিত দেশটিতে, সত্যিই পশ্চিমের মিত্র হিসেবে পরিবর্তন হচ্ছে কি না । সেখানে ধীরে ধীরে অভ্যন্তরীণ কোন পরিবর্তন আসছে কি না, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, সুশীল সমাজভিত্তিক গণতন্ত্র, এ সব ঘটছে কি না । তিনি বলেন ‘সেইসময় আমি কর্ণেল গাদ্দাফির সঙ্গে সাক্ষাত করি । আমি আইনবিদ, সংস্কারবাদী, বৈদ্যুতিন মাধ্যমের প্রবক্তা এবং তার পুত্র সায়েফ সবার সঙ্গে মিলিত হই’ ।
কর্ণেল গাদ্দাফির পুত্র সায়েফ গাদ্দাফি লণ্ডনে পড়াশোনা করেছেন । তিনি ২০০৯ সালে ত্রিপোলীর ওপর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক সংবাদ সম্মেলনের ব্যবস্থা করেন । গণতন্ত্র ও সুশীল সমাজ নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং দুটি বই লিখেছেন যাতে বিকাশমুখী দেশ, ও লিবিয়ায় উদারমুখী গনতন্ত্র, জনগণের অংশগ্রহণ সম্মত গনতন্ত্রের বিষয়ে আলোচনা করেছেন । গাদ্দাফি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন । প্রফেসার বারবার বলেন – ‘সায়েফের ফাউন্ডেশনের প্রকল্পের মধ্যে ছিল – পর্যায়ক্রমে সংস্কারসাধন এবং লিবিয়ায় ১৯৬৯ সালের বিপ্লবের আওতায় যে ধরণের একটা গণতন্ত্র কার্যকর হতে পারে, সেই ধারার প্রবর্তন করা’ ।