অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

প্রেসিডেন্ট ওবামার ভারত সফরের উপর একটি বিশেষ গোলটেবিল আলোচনা


প্রেসিডেন্ট ওবামার ভারত সফরের উপর একটি বিশেষ গোলটেবিল আলোচনা
প্রেসিডেন্ট ওবামার ভারত সফরের উপর একটি বিশেষ গোলটেবিল আলোচনা

এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভারত সফর সম্পর্কে আমরা একটি টেলিকনফারেন্স লাইনে গোলটেবিল আলোচনায় বসছি। কোলকাতা থেকে সরাসরি এই আলোচনায় আমার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বানিজ্য পরিচালনা বিভাগের অধ্যাপক ড রতন খাশনবিশ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভারত সফর দু দেশের মধ্যে সম্পর্কের নানান নতুন মাত্রা সৃষ্টি করেছে, কী কুটনীতিতে এবং কী অর্থনীতিতেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মি ওবামা ভারতকে একটি বিশ্বশক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে ভারতের প্রয়াসকে সমর্থন জানিয়েছেন। ভারতের প্রতি যুক্তরাস্ট্রের এই যে প্রায় অকুন্ঠ সমর্থন, এটি দু দেশের সম্পর্কের জন্যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন মানস ঘোষ। তিনি বলেন যে এতদিন যেটি সরকারী আলোচনায় সীমাবদ্ধ ছিল, সেটি আজ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত হলো। তিনি আরো বলেন যে চীনকে খুশি করার জন্যে বর্মার সঙ্গে ভারতের যে সম্পর্ক তাকে তিনি সমর্থন করেন না এবং যুক্তরাষ্ট্র ভারতের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হবার বিষয়ে এ কথাটিও জুড়ে দিয়েছে। তিনি বলেন যে ভারতকে বর্মার গনতান্ত্রিক শক্তির পেছনে দাঁড়াতে হবে।

ভারত ও যুক্তরাস্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কের ও একটা নতুন দিক উন্মোচিত হলো বলে মনে হচ্ছে। ভারতের পক্ষ থেকে যে মোট ৪৫ হাজার কোটি টাকার বরাত দেয়া হচ্ছে আমেরিকান কোম্পানীগুলকে এবং তাতে ওবামা বলছেন যে যুক্তরাস্ট্রে ৫০ হাজার নতুন চাকরি সৃষ্টি হবে। এ নিয়েতো দু রকমের মতামত পাওয়া যাচ্ছে। কেউ বলছেন যে ভারতে বেকারত্ব মোচনে এই বরাদ্দের কি ভুমিকা থাকবে, আবার কেউ কেউ বলছেন যে এর ফলে ভারত অন্য দিক থেকে লাভবান হচ্ছে। অধ্যাপক রতন খাসনবিশ মনে করেন যে এিই বরাদ্দের একটা সুবিধে ভারত পাবে হাই-টেক বা উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ ক্ষেত্রেগুলিতে। তিনি বলেন যে এ সব ক্ষেত্রে ভারতের যে অদক্ষতা আছে সেগুলিকে অতিক্রম করা তখন ভারতের পক্ষে সম্ভব হবে। তিনি বলেন ঐ সব প্রযুক্তির কারণ ভারত সার্বিক উৎপাদনশলিতা বৃদ্ধি করতে পারবে।

XS
SM
MD
LG