অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রকেই তদন্ত চালাতে হবে বিন লাদেনের পাকিস্তানী সম্পৃক্ততা সম্পর্কে: লিসা কার্টিস


যুক্তরাষ্ট্রকেই তদন্ত চালাতে হবে বিন লাদেনের পাকিস্তানী সম্পৃক্ততা সম্পর্কে: লিসা কার্টিস
যুক্তরাষ্ট্রকেই তদন্ত চালাতে হবে বিন লাদেনের পাকিস্তানী সম্পৃক্ততা সম্পর্কে: লিসা কার্টিস

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা , সিবি এস টেলিভিশনের সিক্সটি মিনিট অনুষ্ঠানে বলেছেন যে বিন লাদেন নিশ্চয়ই পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সমর্থন পেয়েছে , তবে এটা পরিস্কার নয় যে তার সেই চক্রে পাকিস্তান সরকারের ভেতরের লোকজন আছেন কী নেই। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী গিলানি যে বক্তব্য রেখেছেন , তাতে পাকিস্তান , সে দেশে বিন লাদেনের উপস্থিতি সম্পর্কে পাকিস্তানের যে কোন রকম ধারণা থাকার কথাই অস্বীকার করেছেন। এরই প্রেক্ষপটে ওয়াশিংটনের হেরিটেজ ফাউন্ডেশানের সিনিয়র ফেলো ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশ্লেষক লিসা কার্টিস ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা বিভাগের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে যুক্তরাস্ট্রে এ নিয়ে অনেক প্রশ্নই উঠছে যে এগারোই সেপ্টম্বরের সন্ত্রাসী হোতা কি ভাবে ছয় বছর ধরে সেখানে বসবাস করতে পারলো , সামরিক ছাউনির শহরে। এবং এ সব প্রশ্নের জবাব পাকিস্তানকে দিতে হবে। অনেকেতো এটাও বলছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের উচিৎ হবে , পাকিস্তানকে সাহায্য দেওয়া্ স্থগিত করা, যে পর্যন্ত না পাকিস্তানের কাছ থেকে এই সব প্রশ্নের কোন ধরণের জবাব পাওয়া যায়।

তবে তিনি এটাও মনে করেন যে বিন লাদেনের বাড়িতে , বাড়ির আঙ্গিনা থেকে যে সব তথ্য পাওয়া গেছে তাতে বিন লাদেনের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনী আই এস আই এর সম্পর্কের গতি প্রকৃতি সম্পর্কে কিছু অন্তত জানা যাবে। এটা ও দেখা দরকার যে আই এস আই কি বিন লাদেনের পাকিস্তানে অবস্থান সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ভাবে জানতো না কি আই এস আই ইচ্ছে করে , জেনে না জানার ভাণ করে এসছে । ওসামা বিন লাদেনের পাকিস্তানে অবস্থান সম্পর্কে পাকিস্তানি তদন্ত বিষয়ে তিনি বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্যতা খুবই কম। তবে অন্তত তারা যদি কোন কিছু করতে চাইছে , আমার মনে হয় যে সে তদন্ত নিয়ে এগিয়ে যাওয়া দরকার।তবে একই সময়ে যুক্তরাষ্টের ও নিজস্ব তদন্ত চালানো দরকার। এর ভিত্তি হতে পারে যে বিশাল তথ্য উপাত্ত সীল এর সদস্যরা সংগ্রহ করেছে সে গুলো। আর এটাই হচ্ছে যুক্তরাস্ট্রের বিধায়কদের দেখার ব্যাপার , পাকিস্তানের নিজের তথ্য অনুসন্ধানের চেয়ে এটাই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি পাকিস্তান সরকার সম্বন্ধে সেখানকার সেনাবাহিনীর সমালোচনা প্রসঙ্গে বলেন যে সেনাবাহিনী এবং তাদেরই অন্তর্গত গোয়েন্দা বাহিনী এখন তোপের মুখে রয়েছে তবে জেনারেল কায়ানি যদি সত্যিই কিছু করতে চান , তা হলে , সেনাবাহিনীর ঐক্য নিশ্চিত করতে হবে এবং একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু গুরুতর উদ্বেগের দিকে ও নজর দিতে হবে । তিনি বলেন আই এস আইকে সন্ত্রাসীদের সম্পৃক্ততা থেকে মুক্ত করার এখনই সময়।

লিসা কার্টিস মনে করেন না যে পাকিস্তানে সব ধরণের সাহায্য দেওয়া বন্ধ করা উচিৎ , তিনি বরঞ্চ বলেন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেও দেশটিকে জঙ্গিমুক্ত থাকার জন্যে চাপ দিতে পারেন। এটা লক্ষ্য রাখতেই হবে যে পাকিস্তানের পারমানবিক অস্ত্র যেন জঙ্গিদের হাতে না পড়ে।

XS
SM
MD
LG