অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র পাবলিক –প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একমত হয়েছে


জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র পাবলিক –প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একমত হয়েছে
জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র পাবলিক –প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একমত হয়েছে

জাপানে গত মাসের প্রচন্ড ভুমিকম্প এবং সুনামিতে দূর্গত এলাকা পুননির্মাণের জন্যে, টোকিওর পরিচালনায় জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র পাবলিক –প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একমত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের জাপন সফরের সময়ে আজ রোববার টোকিওতে এ ব্যাপারে ঘোষণা দেওয়া হয়।এ সম্পর্কে সেখান থেকে ভয়েস অফ আমেরিকার সংবাদদাতা স্টিভ হারম্যানের পাঠানো প্রতিবেদনটি পড়ছেন, আনিস আহমেদ।

এই আধুনিক সময়ে জাপানের ইতিহাসের সব চেয়ে প্রলয়ঙ্কারি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর পুননির্মাণ কাজ তরান্বিত করার লক্ষে , যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সুশীল সমাজের সংগঠনগুলি এবং সরকারি কর্মকর্তারা পরস্পরকে সহযোগিতা করবেন।

ভুমিকম্পের পর , ছোট ছোট কম্পন এখন ও যখন টোকিওকে নাড়া দিচ্ছে , ঠিক তখন আজ রোবববার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লিন্টন , জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন , সম্রাট ও সম্রাজ্ঞির সঙ্গে চা চক্রে যোগ দিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান এর সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছেন।

জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর , ক্লিন্টন উল্লেখ করেন যে, যে দেশটি অন্যান্য দেশের দুর্যোগে অব্যাহত ভাবে উল্লেখযোগ্য সাহায্য দিয়ে এসছে, এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সেই দেশটিকেই সহায়তা করছে।

ক্লিন্টন বলেন , জাপান হচ্ছে এ ব্যাপারে সব চেয়ে উদার একটি দেশ । আর বহু দেশ যারা গত ৫ সপ্তা ধরে সহযোগিতা প্রদান করে আসছে , তারা অন্যদের পরিচর্যাঢ জাপানের অনুভূতির ঐতিহ্যকেই সম্মান জানাচ্ছেন।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকিয়াকি মাৎসুমোতো , যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান যে সে দেশে অবস্থিত আমেরিকান সেনাবাহিনী সহ , ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে যে সাহায্য –সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে , তা জাপানের বিপুল ভাবে প্রশংসতি হয়েছে।

দিয়ে বলেন যে তারা ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চান , যার মানে হচ্ছে তেজস্ক্রিয় বিকিরণে মাত্রাটা তখণ ক্রমশ নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। আর কেবল তার পরই ঐ স্থাপনার চারটি ক্ষতিগ্রস্ত চু্লিকে শতিল করে বন্ধ করা সম্ভব।

জাপানের ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালানার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী পায় কুড়ি হাজার সদস্য এবং ২০০টি বিমান ও জলযান নিয়োগ করে।

ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা –ওয়ান , পারমানবিক জ্বালানি স্থাপনার জরুরী অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার, সেখানকার পারমানবিক রেগুলেটারি কমিশন এবং জ্বালানি দপ্তর থেকে বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছে ।

ঐ খ্সতিগ্রস্ত স্থাপনায় কি হচ্ছে সে সম্পর্কে বিলম্বিত এবং অস্বচ্ছ তথ্য প্রদানের জন্যে জাপান দেশে বিদেশে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দোভাষির সাহায্যে , এই প্রতিশ্রুতি দেন যে অমীমাংসিত পারমানবিক সঙ্কট সম্পর্কে জাপান সরকার আরও খোলামেলা ভাবে কথাবার্তা বলবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাৎসুমোতো বলেন যে এই পারমানবিক দূর্ঘটনা মোকাবিলায় এখন আমাদের প্রচেষ্টা আরও তরান্বিত করতে হবে। পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে আমাদের ধীর ও নিশ্চিত টদক্ষেপ নিতে হবে। আর আমরা অবশ্যই আন্তর্জাতিক সমাজকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করবো , যা আমাদের করা উচিৎ।

১১ ই মার্চের ভুমিকম্পের আগে থেকেই প্রধান মন্ত্রী কান রাজনৈতিক ভাবে খুব দূর্বল অবস্থানেই ছিলেন এবং এখন ঐ পারমানবিক দুর্যোগে সাড়া দিতে তিনি যে নের্তৃত্ব দিতে পারেননি বলে মনে করা হয় , সে জন্যে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্যে , তাঁর ওপর চাপ ক্রমশই বাড়ছে

ঐ পারমানবিক স্থাপনার সঙ্কট মোকাবিলার জন্যে জাপান সরকার এবং টোকিও ইলেকট্রিক কোম্পানি হিমসিম খাচ্ছে। ফুকুশিমার চুল্লির হিমায়ন ব্যবস্থা , সুনামিতে নষ্ট হয়ে যায়। আর তখন থেকেই , ঐ স্থাপনা থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে বাতাসে ও সমুদ্রে। আর এর ফলে হাজার হাজার লোক তাদের ঘর বাড়িঘর ত্যাগ করে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন, কৃষক ও জেলেদের জীবিকা বিঘ্নিত হয়েছে ।

এ দিকে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবার আশা নেই বলে আজ জানা গেছে। টোকিও ইলেকট্রিক কোম্পানির চেয়ারম্যান সুনেহিশা কাৎসুমাতা , সংবাদদাতাদের বলেছেন যে তাঁরা ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আশা করছেন।

XS
SM
MD
LG