অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

স্যান ফ্রানসিস্কোতে ইনটেল করপোরেশানের বার্ষিক ডেভেলপরস ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়


রিচার্ড ব্যাকওয়ার্থ
রিচার্ড ব্যাকওয়ার্থ

২০১১ সালের ইন্টেল ডেভলেপারস ফোরাম বা আই ডি এফ, তার আয়তনের বিশালত্বের জন্যে; তার উদ্ভাবনী প্রদর্শনীর বৈচিত্রের জন্যে মনে রাখার মতো একটি ঘটনা। ১৩ থেকে ১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এবারকার এই ফোরামের শ্লোগান ছিল, Sky's not the limit; it's the baseline। অর্থাত্ আকাশ সীমারেখার শেষ নয়, এতো কেবল শুরু, ভিত্তি বোধ হয় নবযাত্রার।

এই রকম এক প্রত্যয় ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে শুরু হলো ২০১১ সালের ইন্টেল ডেভেলমপমেন্ট ফোরাম। মনে রাখতে হবে এ কোন কবির কল্পনার কথা নয়, রীতিমতো বিজ্ঞানীর উদ্ভাবনী দক্ষতার কথাও। ইন্টেল কর্পোরশনের সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পল এস ওটেলিনি বলেন যে কম্পিউটারের বিশ্বে আগামী কয়েক বছরের প্রভূত উন্নতির কাছে, গত তিন দশকের সাফল্য ম্লান হয়ে যেতে পারে। ইন্টেল সভাপতির এই আশাবাদী উচ্চারণ কিন্তু কোন কল্পনার কথা নয়, এর ভিত্তি হচ্ছে বাস্তবের গবেষণা ও উদ্ভাবন।

আর বিজ্ঞানের এই উদ্ভাবন এবং এর বিকাশ যে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, আগামী প্রজন্মকে, তারই নিদর্শন দেখছিলাম, স্যান ফ্রান্সিস্কো শহরের কেন্দ্রস্থলের কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই ইন্টেল ডেভলেপারস ফোরামে। সেখানে তথ্য প্রযুত্তির ওপর দেখানো হলো চমকপ্রদ কিছু প্রদর্শনী। সেই রকমই এক প্রদর্শনীতে দেখছিলাম, প্রথাগত দ্বিমাত্রিক ছবির, ত্রিমাত্রিক বা থ্রি ডাইমেনশানাল ছবিতে রূপান্তরিত হবার ঘটনা। রিচার্ড ব্যাকওয়ার্থ, যিনি মূলত একজন মনস্তত্ববিদ তিনি ঐ প্রদর্শনীতে ছবির এই রূপান্তরের কথাটি বলছিলেন।

তিনি বলেন যে ইন্টেল কর্পোরেশানের সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীরা ও কাজ করছেন এটা নির্ধারণ করার জন্যে যে প্রযুক্তি আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরে ঠিক কোন দিকে এগিয়ে যাবে। আমরা এটা ও জানতে চাই যে মানুষ কোন কোন বিষয়ে আগ্রহী আর সেই সঙ্গে আমরা পরিবেশকে ও সাহায্য করতে চাই প্রযুক্তির মাধ্যমে।

তিনি তাঁর প্রদর্শিত প্রকল্প সম্পর্কে বলেন "আর এই প্রকল্পটি হচ্ছে ছবির ভবিষ্যত্ সম্পর্কে। আমরা জানি যে লোকজন এখন ডিজিটাল ক্যামেরার সাহায্যে অনেক বেশি ছবি তুলছেন। এক সময়ে মানুষ কিছু ছবি রাখতো অ্যালবামে, এখন কম্পিউটারে এই ছবির আয়তন কয়েক গিগাবাইটে পৌছেছে। তাই প্রশ্ন হচেছ আমাদের জন্যে সামনে কি আসছে? তিনি বলছেন যে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা দেখতে চান এই বিপুল সংখ্যক ছবি তাদের জন্যে কতখানি প্রয়োজনীয় হতে পারে, কি ভাবে প্রয়োজনীয় হতে পারে। এতে আমরা ছবি দেখেই হয়ত বলে দিতে পারবো ক্যামেরার অবস্থানটা পর্যন্ত। তাছাড়া ছবিতে ডিজিটালি মাত্রা ও যুক্ত করা যেতে পারে।"

তার এই বক্তব্য শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল, আমরা যেন কম্পিউটার বিজ্ঞানে এক অভূতপুর্ব যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি, যা আগের সব রেকর্ড ভঙ্গ করবে।

ফোরামে উপস্থিত ছিলেন সহকর্মি আনিস আহমেদ। শুনুন তার পাঠানো রিপোর্ট।

XS
SM
MD
LG