চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল কমিটির চার দিন ব্যাপী অধিবেশনে যে প্রত্যাশিত ঘোষণাটি আসলো সেটি হচ্ছে চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংকে কেন্দ্রীয় মিলিটারী কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যানের পদে উন্নীত করা হলো।
এর তাৎপর্য সম্বন্ধেই ওয়াশিংটনের জেমস টাউন ফাউন্ডেশানের চীন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ Willy Lam বলছেন যে এটা একটা পরিস্কার আভাষ যে তিনি প্রেসিডেন্ট হু জিন্তাও এর স্থলভিষিক্ত হবেন , যখন ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট হু ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবেন ।
তিনি বলছেন এটা গুরুত্বপুর্ণ কারণ চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রথা অনুযায়ী , ভবিষ্যৎ নেতা এমন একজনের হতে হবে যার অভিজ্ঞতা থাকবে , সুতরাং এটা হচ্ছে শি জিনপিং এর রাজনৈতিক জীবনের এক সন্ধিক্ষণ। মি হু হচ্ছেন সামরিক ঐ কমিশনের চেয়ারম্যা্ন। বস্তুত তিনি এবং শি হচ্ছেন মাত্র দু জন অসামরিক ব্যক্তি যাঁরা এই কমিশনের সঙ্গে যুক্ত।
আরো একটা কারণ চীনে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক সংস্কারের এই আহ্বানকে বেশ জোরালো করে তুলেছে। চীনা ভিন্ন মতাবলম্বী লিউ শাওবোয়ার এ বছরের নোবেল পুরস্কার পাওয়া । সে জন্যেই প্রধান মন্ত্রী ওয়েন জিনবাওএর মতো নেতারা ও এই রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বলেছেন। সেহজীন আপানার নিশ্চয়ই মনে আছে এ বছরে সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘে দেওয়া তাঁর ভাষণের কথা, যেখানে তিনি রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বলেছেন , যদি ও তাঁর ব্ক্তব্যের সব টুকু চীনা সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হয়নি।
তবে চীন বিষয়ক বিশ্লেষক ল্যাম এটা ও বলছেন যে রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়টি নের্তৃত্ব বেশ স্পর্শকাতর মনে করায় এ বছরে দলীয় সভায় আলোচ্য সুচিতে সেটা রাখা হয়নি। অবশ্য সেখানকার একটি পত্রিকায় বিষয়টিকে তেমন স্পর্শকাতর বলে গণ্য করতে বারণ করেছে এবং সংস্কারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করেছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রক অবশ্য এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তারা বলছে যে চীন , তাদের মতো করেই সমাজতন্ত্রের পথ অনুসরণ করে যাবে।