অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সাঁতারের পুলে সাড়া জাগানো নাম আমেরিকার মাইকেল ফেল্পস্


অলিম্পিক - আন্তর্জাতিক অঙ্গন কি বলবেন ? সাঁতারের পুলে সাড়া জাগানো নাম আমেরিকার মাইকেল ফেল্পস্। ২ হাজার সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মাইকেল যুক্তরাষ্ট্র দলের তালিকায় প্রথম যোগ দিল। সিডনী অলিম্পিকে ২শো মিটার প্রজাপতি সাঁতারে ৫ম স্থানে ঠাঁই করে নিল কিন্তু ৪ বছর পর অলিম্পিকের আদি নগরী এথেন্সে ৬টি সোনা ২টি ব্রোঞ্জ পদক গলায় পরে ঘরে ফিরলো মাইকেল। আর তারও ৪ বছর পর বেজিং অলিম্পিকে – ৮টি সোনার পদক জয় তাকে সাঁতারে শীর্ষ স্থানে নিয়ে গেল।

এ বছর লণ্ডনে মাইকেলের এক বিশেষ লক্ষ্য রয়েছে - যা শুধু মাইকেল নিজে এবং তার কোচ বব বোম্যানই জানেন। মাইকেল জানালেনঃ

‘আমরা বহুদিন ধরে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছি এবং এভাবেই টানা কয়েকবছর যাবত কাজ করছি। আমরা অন্য কারও সঙ্গেই আমাদের লক্ষ্য কি তা নিযে কিছু আলোচনা করিনি।

তবে হ্যাঁ, তার একটি লক্ষ্য হচ্চে ৪র্থবারের মত যতুক্তরাষ্ট্র সাঁতার দলে অংশগ্রহণ। জুন মাসের শেষের দিকে নেব্রাস্কা রাজ্যের ওমাহায় বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। ৩০শে জুন মাইকেলের ২৭তম জন্মদিন। মাইকেল এবার যে প্রতিযোগিতায় খুব ভাল ফলাফল করতে পারবে সেই অংশেই যোগ দেবেন।

সম্প্রতি টেক্সাস রাজ্যের ডালাস শহরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মাইকেল বললেন তিনি এবার বেজিংএর মত ৮টি বিভাগে পাল্লা দেবেন না ঃ ‘আমি জানি এবার আর ৮টি স্বর্ণ পদক হবে না বা ৮টি পদকও পাবো না। আপনারা যদি সেভাবে আমাকে দেখতে চান, সেটা আপনাদের ইচ্ছা। না, আমি তা মনে করি না। তবে আমি মনে প্রানে যা চাই, যা বিশ্বাস করি সেটাই করার চেষ্টা করবো। আর জানেন, যদি তা করতে পারি তা হলে খুবই খুশী হবো’।

মাইকেল জানান বেজিংএ ৮টি স্বর্ণপদক জয় তাকে এক্কেবারে পরিশ্রান্ত করেছে । আর তিনি স্বীকার করেন যে গত কয়েক বছরে তার প্রশিক্ষণ অনুশীলন ঠিকমত হয়নি। পারফর্মেন্সও ভাল আশানুরুপ হয়নি। তবে আমার সেই উদ্যম ফিরে পেয়েছি। তার কথা ঃ ‘এই অনুভুতি আমার নিজেকেই খুঁজে পেতে হয়েছে। এখন আবার নিজের কাজে ফিরে এসে খুব ভাল লাগছে’।

এবার তার জোর প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে আর এক আমেরিকান রায়ান লকটি। গত বছরের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানশীপে দুবার তাকে পরাজিত করেছে। তবে মাইকেল মনে করে পরাজয় তাক আরও উত্সাহ যোগায়। তা ছাড়া ১৯৬০এর দশকে অলিম্পিকে সবচাইতে বেশী পদক জয়ী সোভিয়েত জিমন্যাস্ট লারিসা লাটিনিনার ১৮টি পদক জয়ের রেকর্ড ছাড়িযে যাওয়ার তীব্র আকাঙ্খা তার। কিছুদিন আগে লারিসার সঙ্গে নিউইয়র্কে দেখা হযেছে, ছবি তুলেছেন। আর বরাবর তার জীবন কথা লিখে রাখছেন খাতার পাতায়- ‘আমার অভিজ্ঞতার কিছু কথা লিখে রাখা, এ এক বিশেষ সৌভাগ্য। কোনদিন যখন অতীতের দিকে ফিরে তাকাবো – আজ থেকে ১০, ১৫ বছর পরে দেখবো সেই সময়টাতে আমি ঠিক কি করেছিলাম’।

মাইকেলের মত তার পরবর্তী প্রজন্মের অনেকেই হয়তো জানতে চাইবেন অসাধারণ এই সাঁতারু কেমন করে ঢেউএর দোলায় পার হয়েছেন সাফল্যের দিগন্তে……

XS
SM
MD
LG