অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউরোপীয় ইউনিয়ন লিবিয়ার বিরুদ্ধে থোক নিষেধাজ্ঞা আরোপে সম্মত


ইউরোপীয় ইউনিয়ন লিবিয়ার বিরুদ্ধে থোক নিষেধাজ্ঞা আরোপে সম্মত
ইউরোপীয় ইউনিয়ন লিবিয়ার বিরুদ্ধে থোক নিষেধাজ্ঞা আরোপে সম্মত

ব্রাসেলস এ বৈঠকরত ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা বলছেন যে ২৭ রাষ্ট্র বিশিষ্ট তাদের ঐ সংগঠন লিবিয়ার নেতা মোয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে থোক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে এক মত হয়েছেন । এর ফলে গত সপ্তায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নেওয়া প্রস্তাব আরো জোরদার হলো। কর্মকর্তারা বলেছেন যে নিরাপত্তা পরিষদের নিষধাজ্ঞার মতোই ই,ইউ’র এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অস্ত্র সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা , সম্পদ আটক করা এবং মি গাদ্দাফি ও তার ঘনিষ্ঠ জনদের ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা ও রয়েছে।

আজ জিনিভায় একটি মানবাধিকার সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন বলেন যে মি গাদ্দাফির অবিলম্বে ক্ষমতা ত্যাগ করা উচিৎ। তিনি বলেন লিবিয়ার জনগণ তাদের নিজেদের সরকার নিজেরাই ঠিক করবে। তিনি লিবিয়া সম্পর্কে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাকি সম্প্রদায়কে এক সঙ্গে কাজ করতে বলেছেন এবং বলেছেন যে লিবিয়ায় সরকারের দমন অভিযান বন্ধ করার লক্ষে সাহায্য করতে ওয়াশিংটন বেশ কয়েকটি বিকল্প ব্যবস্থা খোলা রেখেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনের এক পার্শ্ব বৈঠকে ই ইউ’র পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা এবং তাদের আন্তর্জাতিক সহপক্ষরা মি গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে , সমন্বয় সাধন করছেন।

ফ্রান্স বলছে যে তারা লিবিয়ার বেনগাজি শহরে , চিকিৎসা সাহায্য বিমানে করে পাঠানো শুরু করছে । তারা বলছে যে এই ব্যাপক তৎপরতার লক্ষ্য হচ্ছে লিবিয়ার নেতা মোয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আন্দোলনকারীদের সাহায্য করা।

ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া ফিলোঁ বলেছেন যে চিকিৎসক , নার্স , ওষুধ পত্র এবং চিকিৎসা সামগ্রি নিয়ে দুটি বিমানের বেনগাজির পথে আজই রওয়ানা হবার কথা। তিনি বলেন তার কথায় মুক্তাঞ্চলে অবস্থিত লিবিয়ার জনগণের জন্যে এ গুলো পাঠানো হচেছ।

সরকার পক্ষ ত্যাগকারী সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলির সমর্থনে বিরোধী বিক্ষোভকারীরা লিবিয়ার সম্পুর্ণ পুর্বাঞ্চলের এবং পশ্চিমাঞ্চলের কিছুটা এলাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে । এ দিকে লিবিয়ার একজন সরকারী মুখপাত্র বলছেন পশ্চিম সামরিক শক্তি নিয়ে লিবিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং লিবিয়ার শহরের ওপর বোমা বর্ষণ করতে পারে। তিনি এই সংঘাতের জন্যে তিন পক্ষকে দায়ি করেন , আল ক্বায়দা , পশ্চিমি শক্তি এবং উপজাতীয় সংঘাত।

এ দিকে পশ্চিমাঞ্চলের জাওইয়া শহরের বাশিন্দারা আজ প্রায় হাজার দুয়েক গাদ্দআফি সমর্থক সৈন্যদের হামলার জন্যে প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। পশ্চিমি সংবাদদাতারা বিদ্রোহীদের দখলেই জাওইয়া শহর রয়েছে বলে জানিয়েছেন। গাদ্দাফির পুত্র সাইফাল ইসলাম গাদ্দাফি ত্রিপোলির শহরতলিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের সমবেত করে বলেন যে

অনেক গুজব নিয়েই বিরোধীরা মশগুল আছে। তারা বলছে পুলিশ পালিয়ে যাচ্ছে । আমরা আজ পুলিম নিয়েই তাদের মোকাবিলা করবো। এ দিকে পুবে লিবিয়ার বিক্ষোভকারীরা শহরের কাজ কর্ম পরিচালনার জন্যে একটি জাতীয় পরিষদ গঠন করেছে।

XS
SM
MD
LG