অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনে ভিন্ন মতাবলম্বী নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন


লিউ ঝিয়াওবো
লিউ ঝিয়াওবো

এবছর নোবেল পুরস্কার যারা পাবেন তাদের মধ্যে লিউ ঝিয়াওবো প্রথম সারিতে অন্যতম বলে গন্য করা হয়েছিল, যদিও অবশ্য চীন সরকার হুশিঁয়ারী দিয়েছিল যে এই পুরস্কার দেওয়া হলে নরওয়ের সংগে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হবে। “চার্টার জিরো এইট” প্রচারের জন্যে লিউ এখন করাবন্দী, এই চার্টারে আরো বেশি পরিমানে জনসমাবেশ, মতামত প্রকাশ ও ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্যে আহ্বান জানান হয়েছে। নোবেল কমিটি বলেছেন মানবাধিকার ও শান্তির মধ্যে সম্পর্ক সুনিবিড়।

বেইজিংএ লিউ জিয়াওবো লেখক এবং সাহিত্যের সাবেক অধ্যাপক । রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার প্রতি নাশকতায় উষ্কানী দেওয়ার অভিযোগে গত ডিসেম্বর মাসে তাকে কারাদন্ড দেওয়া হয়, সারা বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী, পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার এবং লেখকেরা এর তীব্র সমালোচনা করেন।

তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার ঘোষনার পরপরই প্রশ্নের উত্তরে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান টোবিয়ান ইয়াগলান্ড স্পষ্ট করে দেন যে ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমনের জন্যে চীনের বিরোধীতা করাই এবছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের লক্ষ্য, ঠিক যেমনটি এর আগের নোবেল পুরস্কারও স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা বহন করেছে।

তিনি বলেন “অর্থনৈতিক ভাবে চীন একটি বৃহত শক্তিতে পরিনত হয়েছে এবং রাজনৈতিক ভাবেও। বৃহত শক্তি সমালোচনার মুখোমুখি হবে সেটাই স্বাভাবিক। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ছিল বিশ্বের সর্ব্ববৃহত শক্তি এবং কি ধরনের যুক্তরাষ্ট্র আমরা চাই তা নিয়ে ক্রমাগতভাবে আমরা বিতর্ক করেছি, অনেকে সারাক্ষন তাদের সমালোচনা করতো, যা কিনা যুক্তরাষট্রে জন্যে ভালো ফল এনেছিল। চীন যখন উঠে আসছে এবং বৃহত শক্তিতে পরিণত হচ্ছে তখন তার সমালোচনা করার এবং কি ধরনের চীন আমরা চাই তা জিজ্ঞেস করার অধিকার আমাদের আছে।“

টোবিয়ান ইয়াগল্যান্ড বলেছেন নোবেল কমিটি লিউ’র স্ত্রীর সংগে যোগাযোগ করতে পারে নি, তবে তারা চীন সরকারের সংগে যোগাযোগ করেছে। ডিসেমবর মাসে পুরস্কার গ্রহন করার জন্যে লিউকে অসলোতে আসতে আমন্ত্রন জানান হবে তবে তার দেশের কর্তৃপক্ষ তাকে বিদেশ সফরের অনুমতি দেবে কিনা তার কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায় নি।

XS
SM
MD
LG