অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাটের তদন্ত শুরু করেছে এফবিআই


যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাটের তদন্ত শুরু করেছে। ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত অবরসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জন গোমেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফিলিপাইনের সিনেট অধিবেশনে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা অর্থ লোপাটের তদন্ত পর্যবেক্ষণ করছেন। তাদের ধারণা লোপাট হওয়া বেশিরভাগ অর্থই জুয়ার বাজারে চলে গেছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রমাণিত হয়েছে এখানে টাকাটা এসেছে এবং কিছু কিছু একাউন্টে তা জমা হয়েছে।

এদিকে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শেষ পর্যন্ত করেছেন যে বাংলাদেশ ব্যাংক ভালো চলছে না। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে পুরোপুরি ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। অর্থ লোপাটের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকে এক ধরনের শুদ্ধি অভিযান চলছে। ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানের পদত্যাগের পর মঙ্গলবারই দুই ডেপুটি গভর্নরকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে সিআইডি। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের আতঙ্ক বিরাজ করতে দেখা যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাটে হ্যাকারগোষ্ঠী এবং ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের মধ্যে যোগসূত্র থাকার দাবি করেছেন দেশটির সিনেটের প্রেসিডেন্ট প্রো-টেম্পোর রালফ রেক্টো। তিনি বলেছেন, ব্যাংক ব্যবস্থাপক মাইয়া সান্তোস দেগুইতোকে সিনিটের শুনানিতে সাক্ষ্য দেয়ার অনুমতি দিলেই ‌ঐ যোগসূত্র বেরিয়ে আসবে। স্থানীয় একটি রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মার্কিন ফেডারেল ব্যাংক বলেছে, অর্থস্থানান্তরের অনুরোধগুলো পুরোপুরি অনুমোদিত ছিল। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী।

please wait

No media source currently available

0:00 0:01:02 0:00

XS
SM
MD
LG