অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চার সপ্তাহেও দুই বিদেশী নাগরিক হত্যাকান্ডে জড়িতদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি নেই


২৮ সেপ্টেম্বর ইটালীয় নাগরিক সিজার তেভেলা এবং ৩ অক্টোবর জাপানি নাগরিক কোনিও হোশি হত্যাকান্ডের পরে ৪ সপ্তাহ পেরিয়ে যাচ্ছে, অথচ বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত এই হত্যাকান্ডে জড়িতদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো অগ্রগতির কথা জানাতে পারেনি।

সত্যিকার অর্থে তদন্তে কতোটুকু অগ্রগতি হয়েছে সে সম্পর্কেও কর্তৃপক্ষীয় বক্তব্য স্পষ্ট নয়। এই দুটি হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায় জঙ্গীগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস স্বীকার করলেও সরকার তা সরাসরি অস্বীকার করেছে। এ সম্পর্কেও সরকারের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ স্পষ্ট নয়, এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা। এমনই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমী দুনিয়ার অনেক দেশ বলছে, সত্যিকার এবং বিশ্বাসযোগ্য অর্থেই বাংলাদেশে জঙ্গী হামলার হুমকি রয়েছে। তারাসহ অন্যান্য অনেক দেশ সতর্কবার্তা জারি এবং বহাল রেখেছে তাদের নাগরিকদের জন্য। নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ে আছেন বিদেশী কূটনীতিকরা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূতগণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক করে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার কথা বলেছেন। বুধবারও এক দফা বৈঠক করেন তারা। কিন্তু কূটনীতিকরা নিশ্চিত হতে পারছেন না। সামগ্রিক পরিস্থিতির উপরে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনীতিতে। এ সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সহ-সভাপতি এবং ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর। ঢাকা থেকে আমীর খসরু।

XS
SM
MD
LG