বাংলাদেশে মঙ্গলবার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির সাথে সাথে বেড়েছে লাখ লাখ বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ।
দেশের অভ্যন্তরে বৃষ্টিপাত এবং সীমান্তের ওপার থেকে বয়ে আসা উজানের পানির ঢলে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা, সুরমা ও কুশিয়ারা নদ নদীর পানি আরও বেড়ে যাওয়ায় এদের অববাহিকা সমূহের ১৪টি জেলায় নতুন নতুন এলাকা বন্যার প্লাবিত হয়েছে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজধানী ঢাকার নিন্মাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে।
বন্যা শুরুর পর এ পর্যন্ত পানিতে ডুবে সিরাজগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে ৫ শিশুসহ অন্তত ৬ জন প্রান হারিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বন্যার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় দুর্গত এলাকায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ঔষধের শঙ্কট অব্যাহত রয়েছে। বেশ কিছু দুর্গত এলাকার মানুষ অভিযোগ করেছেন বন্যা শুরুর পর ত্রাণ অথবা সরকারের কোন লোক কিংবা জনপ্রতিনিধিদের দেখা পাওয়া যায় নাই।
দুর্গত এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার খবর গণমাধ্যম জানালেও, মন্ত্রণালয়ের দাবি এসব এলাকায় স্বাভাবিক নিয়মেই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। ঢাকা থেকে জহুরুল আলম।