অতীতে যে কোনও দেশের ভিসা পেতে হলে সে দেশের দূতাবাসের সামনে লাইন দিযে ভিসার দরখাস্ত করে ভিসার জন্য অপেক্ষা করতে হত। কিন্তু অন্তত ১৪৭ দেশের পর্যটকেরা ভারতে আসতে চাইলে মুহূর্তে ইলেকট্রনিক ভিসা দিয়ে দেওয়া হয়। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের প্রস্তাব ছিল, এই সুবিধে দেওয়া হোক বাংলাদেশী পর্যটকদেরও। বিশেষত প্রধানমন্ত্রি নরেন্দ্র মোদির আমলে দুই দেশের সম্পর্কের যে ভাবে উন্নতি হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করলে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে। কিন্তু ঘোর আপত্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। তাদের আশঙ্কা, ই-ভিসার সুযোগ নিয়ে সম্ভাব্য জঙ্গীরাও অনায়াসে ঢুকে পড়বে ভারতে। একটা মধ্য পন্থা হিসেবে ভাবা হচ্ছে, প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা আর নিয়মিত যে সব বাংলাদেশি পর্যটকদের নিয়ে কোনও সংশয় নেই, তাঁদের জন্য ই-ভিসা কি করা যায় না? কোনও সিদ্ধান্ত হয় নি। অন্য যে কোনও দেশের চেয়ে বাংলাদেশ থেকেই বেশি পর্যটক আসেন ভারতে। যেমন, ২০১৫-র প্রথম ১০ মাসে ৯ লক্ষ বাংলাদেশী ভারতে এসেছিলেন।
এ সম্পর্কে কলকাতা থেকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন গৌতম গুপ্ত।