ব্যাপক সহিংসতা, প্রাণহানি আর বর্জনের মধ্যে ৬৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনী সহিংসতায় কমপক্ষে সাত জন প্রাণ হারিয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারি দল সমর্থকদের মধ্যেই সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। সন্দ্বীপের চর বাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে ঘটনাস্থলেই তিন জন প্রাণ হারিয়েছেন। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, তিন জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। গুলিতে একজন পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। যশোরে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে দুই জন নিহত হন। এছাড়া, ওই এলাকায় ভোটের সময় সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন একজন। ঢাকার কাছে কেরানিগঞ্জে গুলিতে এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ মনে করেন, পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাই ভেঙ্গে পড়েছে। তিনি বলেন, দুর্বৃত্তায়ন, সন্ত্রাস, সহিংসতার কারণে নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে।
প্রাণহানি ছাড়াও দেশের বিভিন্নস্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েক শ’ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ অবশ্য দাবি করেছেন, বেশিরভাগ কেন্দ্রে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। যদিও তিনি এটা স্বীকার করেছেন, বিচ্ছিন্ন সহিংসতায় নির্বাচন কমিশনের সাফল্য ম্লান হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলার সুযোগ নেই। অন্যদিকে বিএনপি বলেছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার খারাপ নির্বাচনের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।