আন্দোলনরত মেডিকেল ভর্তিচ্ছুক ছাত্ররা ভর্তি পরীক্ষা বাতিল, যোগ্য ও নিরপেক্ষ কমিটির মাধ্যমে পূনরায় পরীক্ষা গ্রহণের জন্য সরকারকে আলটিমেটাম দিয়েছে। আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই দাবি মানা না হলে ২৭শে সেপ্টেম্বর তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও করবে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগে ছাত্ররা এ আন্দোলন করছে। ৮৪ হাজার ৭৮৪ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। ১৮ই সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ঠিক আগের দিন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। আর এই অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উপপরিচালকসহ তিনজনকে আটক করে। একই অভিযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজের তিন চিকিৎসকসহ ৭ জনকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীই শুধু নয়, তাদের অভিভাবকদের মধ্যেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে। প্রায় ৩৫ হাজার ছাত্রছাত্রী এখন রাজপথে আন্দোলন করছেন। মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের তরফে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এর আগে তারা শাহবাগ ও শহীদ মিনারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রামেও ছাত্ররা দুই দফায় সড়ক অবরোধ করেছে। এই আন্দোলনের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন মোহাইমিনুল ইসলাম লিয়ন। তিনি বলেন, পরীক্ষা বাতিল করা না হলে ঈদের দিনসহ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভাইরনমেন্ট-এর সাধারণ সম্পাদক ডা. কাজী রকিবুল ইসলাম এক বিবৃতিতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বিরোধী বিএনপি ও জাতীয় পার্টি পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবি জানিয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পূনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবি করেছেন।
এ সম্পর্কে ঢাকা থেকে বিস্তারিত জানিয়েছেন মতিউর রহমান চৌধুরী।