অবসান হলো দীর্ঘ প্রতীক্ষার। খোঁজ মিললো অধরা কণা ভাইল ফার্মিয়নের। সেই ১৯২৯ সালে পদার্থবিদ হারম্যান ভাইল সর্বপ্রথম ফার্মিয়ন কণা সম্পর্কে ধারণা দেন। ৮৫ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী পদার্থবিদ জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে একদল গবেষক খুঁজে পেলেন ভাইল ফার্মিয়ন। এই আবিষ্কার দ্রুততম এবং আরও কার্যকর ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন জাহিদ হাসান ও তার গবেষক দলের সদস্যরা। সে ধরনের ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই যুগেও কল্পনা করা যায় না বলে মন্তব্য করেন জাহিদ। গত বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স-এ ভাইল ফার্মিয়নের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জগতের সবকিছুই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার পিণ্ড। এসব বস্তুকণাকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন বিজ্ঞানীরা। এসব কণার একটি ফার্মিয়ন। ফার্মিয়নেরই একটি উপদল হলো ভাইল ফার্মিয়ন। আরেক জাতের কণা হলো বোসন। যার আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালি পদার্থ বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নাম। এর ৯১ বছর পর আরেক বাঙালি পদার্থ বিজ্ঞানী সৃষ্টি করলেন নতুন ইতিহাস। আইনজীবী রহমত আলী ও গৃহিণী নাদিরা বেগমের দুই পুত্র এবং এক কন্যার মধ্যে সবার বড় জাহিদ হাসান। ধানমন্ডি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন জাহিদ। ফলাফলেও ছিল তার অসামান্য সাফল্য। তিনি মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিনে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে পড়াশোনা করেন। সেখানে কাজ করেছেন নোবেল বিজয়ী পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিভেন ভাইনবার্গের সঙ্গে। তার আগ্রহেই তিনি কাজ শুরু করেন পরীক্ষা নির্ভর পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে। পড়ালেখা শেষ করে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন জাহিদ হাসান। বর্তমানে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট