ঢাকা ও ওয়াশিংটন সন্ত্রাসবাদ দমনে সহযোগিতা বাড়াতে একমত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পঞ্চম অংশীদারিত্ব সংলাপ শুরু হয়। দুই দিনের এই সংলাপের প্রথম দিনে-নিরাপত্তা সহযোগিতা, উন্নয়ন ও শাসন প্রক্রিয়া সহযোগিতা এবং বানিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা সংক্রান্ত তিনটি ওয়ারকিং গ্রুপ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষীক, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন রোকেয়া হায়দার।
উভয় পক্ষের প্রতিনিধি দল সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ দমন এবং সহিংস চরমপন্থা প্রতিহত করতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল, তিন দশক ধরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ন অবদানের প্রশংসা করে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলও, সাড়ে চার দশক ধরে বাংলাদেশের কৃষি, উচ্চ শিক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইউএসএআইডি’র সহযোগিতার প্রশংসা করে। দুই দেশের প্রতিনিধি দলই বিদ্যমান ও নতুন খাতে অব্যাহত এবং ব্যাপক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে।
বাংলাদেশ সরকার মায়ানমারের অনথিভুক্ত বিরাট সংখ্যক নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল তার প্রশংসা করে। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা বাংলাদেশীদের বিনিয়োগে উৎসাহ দেবার বিষয়েও একমত হয়েছে দুই পক্ষ।
দুই দেশের প্রতিনিধিদল বানিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবার বিষয়ে একমত হয়েছে।
ওয়াশিংটন ডিসি’তে দুপুরে Council on Foreign Affairs বা CFR এ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, ‘২০৩০/৩৫ সালে বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা’ শীর্ষক উপস্থাপনা তুলে ধরেন। ঐ উপস্থাপনায় পররাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং সেখান থেকে দুই দশকের মধ্যে উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
এছাড়াও তিনি বানিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা, বাংলাদেশের অর্থণীতির শক্তি, গভীরতম আন্ত:সংযোগ, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ এবং গনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বহুত্ব ও উদারনীতি সম্বলিত ২০৩০/৩৫ সালের উন্নত বাংলাদেশের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।