কয়েক বছর আগেও বিহারের সন্তান প্রশান্ত কিশোর ছিলেন আফ্রিকায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরামর্শদাতা। ২০১১ সালে দেশে ফেরবার পর কোনও ভাবে পরিচয় হয় নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। ক্রমে তিনি হয়ে ওঠেন মোদির ২০১৪-র নির্বচনী কৌশল রচনার মূল মস্তিষ্ক। চমকপ্রদ ভাবে মোদি জিতে এসে প্রধানমন্ত্রি হলেন বটে, কিন্তু, সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেল প্রশান্তের সঙ্গে। এ বার প্রশান্তের লক্ষ্য হয়ে ওঠে, মোদির পরম শত্রু নীতিশ কুমারকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রি পদে জিতিয়ে আনা। তাঁর পরামর্শেই পুরনো সহকর্মী কিন্তু সাম্প্রতিক কালে পরম শ্ত্রু লালু প্রসাদের সঙ্গেই জোট বাঁধলেন নীতিশ। যোগ দিল কংগ্রেসও। কিন্তু লালুর কালিমালিপ্ত ভাবমূর্তি এড়াতে সত ও দক্ষ প্রশাসক ভাবমূর্তির একা নীতিশকুমারকে ঘিরেই চলল জোটের নির্বচনী প্রচার। এই প্রচার কৌশলের সাফল্যে বিপুল ব্যবধানে বিহারে ক্ষমতায় এল নীতিশ-লালুর জোট। দেশের রাজনৈতিক মহলে এখন জোড়া সাফল্যের স্থপতি প্রশান্ত কিশোরের ব্যাপক চাহিদা।