সামরিক শাসনামলে মানবাধিকার লংঘন এবং এসব কারণে ১৯৮৯ সালে প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র এবং পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোসহ অনেক উন্নত দেশ তৎকালীন বার্মা- যা এখনকার মিয়ানমার-তার উপরে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ২০১৬ সালের শেষ দিকে এসে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের উপর থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে বার্মা তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে অন্যতম রফতানীকারক দেশ ছিল। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে আন্তর্জাতিক বাজার উন্মুক্ত হওয়া এবং একই সাথে বিদেশী বিনিয়োগ আসতে থাকায়, দেশটি পুনরায় তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের আন্তর্জাতিক বাজার দখল করতে পারে এবং বাংলাদেশসহ এ খাতে প্রধান ৬টি দেশের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারে- এমন আভাস দিয়েছে Kurt Salmon নামের একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক গবেষণা সংস্থা। বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞগণও এমন আভাসদিচ্ছেন। তৈরি পোশাক এবং বস্ত্র খাতে মিয়ানমার বাংলাদেশের কতোবড় প্রতিদ্বন্দ্বী ও ঝুকির কারণ হয়ে উঠতে পারে সে সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন বাংলাদেশের প্রভাবশালী গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- (সিপিডি)’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারকদের পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং কৌশলগত উন্নয়নের দিকে মনোযোগী হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
ঢাকা থেকে আমীর খসরুর রিপোর্ট।