অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জলবায়ু পরিবর্তন এর প্রভাব হবে ব্যাপক বিস্তৃত


জাপানের বন্দর শহর উয়োকোহামায় বিশ্বের একশটিরও বেশী দেশের বিজ্ঞানী ও সরকারী প্রতিনিধিদের ৫ দিনের বৈঠকের পর জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্ত:সরকার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ঝুঁকি মোকাবেলায় ভালভাবে প্রস্তুত নয় বিশ্ব।

মনুষ্য সৃষ্ট কারণে জলবায়ূ প্ররিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়বে জীবন এবং পরিবেশের ওপর। বিশ্বের কোনো অঞ্চলই বাদ পড়বেনা এ থেকে। বলেছেন ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ কেলি লেভিন।

লেভিন বলেন, “সবচেয়ে বড় খবর হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন এর প্রভাব হবে ব্যাপক বিস্তৃত”।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারনে দুর্যোগপূর্ন আবহাওয়া যেমন বাড়বে তেমনি বাড়বে খাদ্য ও পানির সংকট ও পরিবেশের ভারসাম্য। মৃত্যু ঘটবে জলজ প্রাণীর, ধ্বংস হবে বনাঞ্চল।

কেলী লেভিন বললেন, “এর প্রভাবে উপকুলীয় বন্যা, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ঘটবে। এই শতাব্দীর শেষভাগে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে”।

আফ্রিকা ও অষ্ট্রেলিয়ায় বন্যার প্রাদুর্ভাব বাড়বে। এছাড়া উত্তর আমেরিকা ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ায় প্রচন্ড তপ্ত আবহাওয়া বিরাজ করবে। উত্তপ্ত বিশ্বে টিকে থাকতে সবচেয়ে বেগ পেতে হবে দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে। লেভিন বলেন খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অবস্থা মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।

“রিপোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমা্ত্রা বৃদ্ধির কারনে ২ শতাংশ আয় সংকোচন ঘটবে। এবং ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র বৃদ্ধি হলে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে তা কল্পনারও বাইরে”।

জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক এই ধারণার পরও তা প্রতিরোধে আশার কথা শোনালেন পরিবেশবিদ ক্রিস্টোফার ফিল্ডস:

“বিরূপ আবহাওয়া প্রতিরোধের জন্য আমরা সমন্বিত সামাজিক প্রয়াসের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কমিয়ে আনতে পারি”।

ইয়োকোহামায় জলবায়ু সম্মেলনের বাইরে পরিবেশবাদীরা জড়ো হয়ে পাওয়ার প্ল্যান্ট, গাড়ী ও শিল্প কারখানার বর্জ্য কমিয়ে পরিবেশ দুষণ বন্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।

জলবায়ু সংক্রান্ত এই প্রতিবেদন থেকে নানা ধারণা নিয়ে ২০১৫ সাল নাগাদ গ্লোবাল ক্লাইমেট ট্রিটি করার প্রচেষ্টা চলছে যা ২০১২ সালে শেষ হওয়া কিয়োতো প্রটোকলের স্থলাভিষিক্ত হবে।
XS
SM
MD
LG