অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

তরুণ ও যুব সমাজের উন্নয়নে ফটবল রাখতে পারে অনন্য ভূমিকা


csis
csis
ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বককাপ ফুটবল। আর তা নিয়ে গোটা বিশ্বে চলছে উৎসবের আমেজ। সকার বা ফুটবলের এই উৎসব-উন্মাদনা ষ্টেডিয়ামের গন্ডি ছাড়িয়ে ব্যাপিৃত এখন সর্বত্র। তরুণ ও যুব সমাজের উন্নয়নে এই ক্রীড়াশৈলী রাখতে পারে অনন্য ভূমিকা, এমন অভিমত ব্যাক্ত করলেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির সেন্টার ফর ষ্ট্র্যাটেজিক এ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ষ্টাডিজ(সিএসআইএস)এর এক সভায় বক্তারা।

সকার বা ফুটবল হতে পারে সমগ্র বিশ্বের যুব উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার এক অনন্য উপায়। “বিশ্বকাপ ২০১৪: সকারে তরুণ-তরুণী ও যুব সমাজের সম্পৃক্ততা” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তাদের মূল কথাই ছিল এটি।

সিএসঅঅইএস এর পরিচালক নিকল গোল্ডিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় যুব সমাজকে কেন সকার বা ফুটবলের সাথে সম্পৃক্ত করা দরকার এ প্রশ্নে ‘পার্টনারস অব আমেরিকাস’ এর ষ্পোর্টস ফর ডেভলপমেন্ট পরিচালক পল টিপলি বলেন, এটা হচ্ছে আবেগ আর ভালবাসা।

তিনি বলেন, “যুব সমাজ প্রবলভাবে আবেগপ্রবণ। তারা যা করে বা যা শেখে তার মধ্যেও আবেগ থাকে। সকারও তাই। এ থেকে ভালো বিষয়গুলো নিয়ে তারা জীবন গড়তে পারে। শৃংখলা, নিয়মানুবর্তিতা এসব শিখতে পারে”।

অনুষ্ঠানে কাবুল গার্লস সকার ক্লাব বইয়ের লেখক এবং ‘সিডস অব পিসে’র পরিচালক আওইস্তা আইয়ুব বলেন অনেক ভালো গুনের পাশাপাশি সকার তরুন সমাজকে দলীয়ভাবে কাজ করার মানষিকতা শেখায়, বৈষম্যহীনতা শেখায়।

তিনি বলেন, “একজন আফগান আমেরিকান হিসাবে আমার জন্য সকার বৈষম্যহীনতার প্রতীক। একজন মেয়ে আর একজন ছেলে যেই সকার খেলুক আমি কোনো পার্থক্য দেখিনা”।

দু’বারের অলিম্পিক স্বর্ণ বিজয়ী ও যুক্তরাষ্ট্রের মহিলা জাতীয় সকার দলের হয়ে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ব্রিয়ানা ষ্কারি বলেন অন্যান্য ক্রীড়ার পাশাপাশি সকা্রেও সারা বিশ্বে নারীরা ভালো করছে। তারা আরো ভালো করবে সচেতনতা বাড়াতে পারলে।

তিনি বলেন, “আগে মাত্র দুটি ফেডারেশন ছিল মেয়েদের ক্রীড়া সংক্রান্ত। এখন ২০টি।”

পল টিপলি বলেন সকারের মাধ্যমে শৃংখলা নিয়মানুবর্তিতা শেখা যায়। যা জীবন গঠনে প্রয়োহনীয়।

“তিনি বলেন সকার যুব সমাজকে নিয়মের মধ্যে থেকে সবকিছু সমন্বয় করতে শেখায়। ৯০ মিনিটের খেলায় শেষ বাশী বাজার আগ পর্যন্ত শ্রম ও মনোযোগ দিয়ে খেলে যেতে হয়। তা দেখে তারা অনুশীলন ও কঠোর পরিশ্রম করার মানষিকতা শিখতে পারে।

আওইস্তা আইয়ুব বলেন আফগানিস্তানের মতো রক্ষনশীল সমাজে মেয়েদের জন্য ফুটবল দল করা কঠিন ছিল। কিন্তু তারুন্য সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেল করেছে। সফল হয়েছে তারা। আর কোনো ক্ষেত্রের সফলতা সাহস বাড়িয়ে দেয়।

‘যখন কোনো কিছুতে সফলতা আসে তখন সমাজ বোঝে যে ক্রীড়ায় শুধু ছেলেরা নয় মেয়েঁরাও সফল হতে পারে। মেয়েরা যতো বেশী সফল হবে সমাজও ততো উদার হবে তাদেরকে ক্রীড়াক্ষেত্রে যোগ দেয়ায় উৎসাহিত করতে’।

বক্তারা শুধু সকার বা ফুটবল নয় সকল ক্রীড়ায় তরুন ও যুব সমাজকে আরো বেশী করে সম্পৃক্ত করা এবং মেয়েদেরকে আরো বেশী উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে সকলকে আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানান।
XS
SM
MD
LG