অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মাদক প্রতিরোধে চাই সমন্বিত উদ্যোগ


মাদকাসক্তির কারণে বাড়ছে সামাজিক অপরাধ। কয়েক বছর আগে ভারত থেকে আসা ফেনসিডিল সেবনের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। এখন মায়ানমার থেকে আসা ইয়াবা নামে এক ধরণের মাদক সেবনেও প্রচন্ড রকমের বাড়াবাড়ি দেখা যাচ্ছে। গ্রাম-গঞ্জেও এই ইয়াবা পৌছেঁ গেছে। তবে সীমান্ত দিয়ে ইয়াবার প্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ মায়ানমারের সঙ্গে কাজ করছে।

ইয়াবাসহ সকল মাদক প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগের উপর গুরুত্ব দিয়ে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা ‘মানস’ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, ইয়াবা একটি মারাত্মক নেশা যা সেবনের ফলে মনুষ্যত্ব লোপ পায়। ফলে যে কোন ধরণের কাজ করতে পারে। যা আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি।

এমন বাস্তবতায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২৬ জুন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালিত হয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মাদকদ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করতে ১৯৮৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় দিনটিকে মাদকবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘Listen First’ বা ‘প্রথমে শুনুন’।

এ প্রসঙ্গে অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, মাদক আসলে ছেলেমেয়েরা না জেনেই গ্রহণ করে। কৌতূহল থেকে। আমরা যেন ছেলেমেয়েদের মাদক সম্পর্কে সচেতন করি। এটি স্কুল কলেজে, পাঠ্যসূচীতে, পরিবারে সবকিছুতে যেন এটি নিয়ে আমরা কথা বলি। তাহলেই মাদক প্রতিরোধ করা যাবে।

বাংলাদেশে মাদক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারিভাবে বলা হয় ৭০ থেকে ৮০ লাখ মাদকাসক্ত রয়েছে। আমরা যারা দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি তারা মনে করি, এদেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। ঐশী নামের একটি মেয়ে মাদকাসক্তির কারণে হত্যা করার পর আমরা একটু নড়েচড়ে বসেছিলাম। মাদকের কারণে এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।

মাদককে না বলাতে বাংলাদেশ এখনো কোন বাস্তবসম্মত উপায় বের করতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি করতে পারবে না। এজন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন দরকার। এজন্য স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, শিক্ষা, তথ্য ও যুব মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নিয়ে সেল গঠন করা গেলে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব।

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে পাড়ায় পাড়ায় মাদক প্রতিরোধ কমিটি করারও সুপারিশ করেন তিনি।

আঙ্গুর নাহার মন্টি, ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার

সহযোগিতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:54 0:00
সরাসরি লিংক

XS
SM
MD
LG