শরীফ উল হক
সহযোগিতায়- ইউএসআইডি এবং ভয়েস অফ আমেরিকা
প্রযোজনায়- রেডিও টুডে প্রাইভেট লিমিটেড
সামির ওবায়েদ, পেশায় একজন সুরকার। হারিয়ে যেতে যেতে তার ফিরে আসার গল্প তিনি আমাদের বলেছেন।
নিঃসঙ্গতা যখন একটি মানুষকে আঁকড়ে ধরে এবং পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ঠিক তখনই জীবন নতুন মোড় নেয়। কিশোর বয়সে সামির ওবায়েদ-এর জীবনে শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়। হঠাত বাবার মারা যাওয়া, মা এবং বড় ভাই যার যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবার কারণে সামির ধীরে ধীরে একা হয়ে পড়ে। পরিবারের কারো সাথে তার সময়টুকু ভাগ করে নেয়ার সুযোগ পায় না। নির্ভরশীল হয়ে পড়ে বন্ধুদের উপর।
সামির আস্তে আস্তে আসক্ত হয়ে পড়ে গাঁজা সেবনে। বাড়িতে কেউ শাসন করার না থাকার সুযোগে বন্ধুদের নিয়ে দিন দিন চলতে থাকে আড্ডা আর মাদকের ছোবলে হারিয়ে যাওয়া। যেহেতু সে সঙ্গীতের মানুষ, তাই যাদের সে অনুসরণ করত সামিরের মনে হয়েছে মাদক সেবনে তাদের সমপর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব। তারপর থেকে শুরু হয় হেরোইন সেবন। একটা সময় বন্ধুদের সাথে তাল মেলাতে সামির ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মরফিন, প্যাথিড্রিনসহ বিভিন্ন মাদক নেয়া শুরু করে।।
নেশা মানসিক এবং শারীরিক বিভিন্ন ক্ষতির কারণ। কিছু লক্ষণও প্রকাশ পায় যা স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় বিঘ্ন ঘটায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বাভাবিক না হতে পারা, অনিদ্রা, খাবারে অরুচি, দীর্ঘক্ষণ মাদক না নিলে বমি বমি ভাব, হার্ট কাজ না করা, শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া এবং খিচুনি সহ আরো অনেক উপসর্গ।
কিন্তু একটা সময় সাহায্যের দরকার আপনজনের। সামিরের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল তার মা এবং বড় ভাই। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সামির বুঝতে পারে সে নড়াচড়া করতে পারছে না এবং তার শরীরের তাপমাত্রা উদ্বেগজনক হারে কমে যাচ্ছে। সাথে সাথে মা এবং বড় ভাই সামিরকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
সামির বুঝতে পারে কি কারণে ধীরে ধীরে সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিল। অজানা এক আকর্ষণ এবং গ্ল্যামারাস জগতের নেশায় ধীরে ধীরে আসক্ত হয়ে পড়ে মাদকে।
এক সময় নিজের মধ্যে উপলব্ধি আসে। ক্ষনিকের আনন্দের জন্য মাদক গ্রহণ করাটা তার ঠিক হয়নি। এই আনন্দটাই সামির খুঁজে নিতে চায় তার গান, বই পড়া এবং গান লেখার মধ্য দিয়ে।
আমাদের তরুণ প্রজন্ম নতুন দিনের শক্তি। তাদের উপরই নির্ভর করছে আগামীর স্বপ্ন। তারা যেন হারিয়ে না যায় মাদকের কড়াল গ্রাসে, এই প্রত্যাশা সকলের।
সহযোগিতায়- ইউএসআইডি এবং ভয়েস অফ আমেরিকা
প্রযোজনায়- রেডিও টুডে প্রাইভেট লিমিটেড
সামির ওবায়েদ, পেশায় একজন সুরকার। হারিয়ে যেতে যেতে তার ফিরে আসার গল্প তিনি আমাদের বলেছেন।
নিঃসঙ্গতা যখন একটি মানুষকে আঁকড়ে ধরে এবং পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ঠিক তখনই জীবন নতুন মোড় নেয়। কিশোর বয়সে সামির ওবায়েদ-এর জীবনে শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়। হঠাত বাবার মারা যাওয়া, মা এবং বড় ভাই যার যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবার কারণে সামির ধীরে ধীরে একা হয়ে পড়ে। পরিবারের কারো সাথে তার সময়টুকু ভাগ করে নেয়ার সুযোগ পায় না। নির্ভরশীল হয়ে পড়ে বন্ধুদের উপর।
সামির আস্তে আস্তে আসক্ত হয়ে পড়ে গাঁজা সেবনে। বাড়িতে কেউ শাসন করার না থাকার সুযোগে বন্ধুদের নিয়ে দিন দিন চলতে থাকে আড্ডা আর মাদকের ছোবলে হারিয়ে যাওয়া। যেহেতু সে সঙ্গীতের মানুষ, তাই যাদের সে অনুসরণ করত সামিরের মনে হয়েছে মাদক সেবনে তাদের সমপর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব। তারপর থেকে শুরু হয় হেরোইন সেবন। একটা সময় বন্ধুদের সাথে তাল মেলাতে সামির ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মরফিন, প্যাথিড্রিনসহ বিভিন্ন মাদক নেয়া শুরু করে।।
নেশা মানসিক এবং শারীরিক বিভিন্ন ক্ষতির কারণ। কিছু লক্ষণও প্রকাশ পায় যা স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় বিঘ্ন ঘটায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বাভাবিক না হতে পারা, অনিদ্রা, খাবারে অরুচি, দীর্ঘক্ষণ মাদক না নিলে বমি বমি ভাব, হার্ট কাজ না করা, শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া এবং খিচুনি সহ আরো অনেক উপসর্গ।
কিন্তু একটা সময় সাহায্যের দরকার আপনজনের। সামিরের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল তার মা এবং বড় ভাই। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সামির বুঝতে পারে সে নড়াচড়া করতে পারছে না এবং তার শরীরের তাপমাত্রা উদ্বেগজনক হারে কমে যাচ্ছে। সাথে সাথে মা এবং বড় ভাই সামিরকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
সামির বুঝতে পারে কি কারণে ধীরে ধীরে সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিল। অজানা এক আকর্ষণ এবং গ্ল্যামারাস জগতের নেশায় ধীরে ধীরে আসক্ত হয়ে পড়ে মাদকে।
এক সময় নিজের মধ্যে উপলব্ধি আসে। ক্ষনিকের আনন্দের জন্য মাদক গ্রহণ করাটা তার ঠিক হয়নি। এই আনন্দটাই সামির খুঁজে নিতে চায় তার গান, বই পড়া এবং গান লেখার মধ্য দিয়ে।
আমাদের তরুণ প্রজন্ম নতুন দিনের শক্তি। তাদের উপরই নির্ভর করছে আগামীর স্বপ্ন। তারা যেন হারিয়ে না যায় মাদকের কড়াল গ্রাসে, এই প্রত্যাশা সকলের।