অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইফতার ও সেহরিতে সুষম খাবার খান


আঙ্গুর নাহার মন্টি

ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার

সহযোগিতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা

পবিত্র রমজান মাসে ইফতার ও সেহরিতে বদলে যায় আমাদের খাবারের ধরণ। মুড়িমাখার জন্য ছোলার পাশাপাশি থাকে বেগুনি, আলুর চপ, পিয়াজু, পাকৌড়া, কাবাবসহ নানা ধরণের মুখরোচক ভাজাপোড়া খাবার। সারাদিন রোজা রাখার পর এসব ভাজাপোড়ার খাবারের চাপ পড়ে আমাদের পাকস্থলীতে। ফলে অনেকে পানিশূণ্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাই সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার হওয়া উচিত পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য। ইফতারে ফলমূল, ফলের রস, সালাদ ও প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে বলেন পুষ্টিবিদরা।

এ প্রসঙ্গে গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতালের পুষ্টিবিদ জিনাত লায়লা বাণী বলেন, ইফতারিতে কম তেলে রান্না করা এবং কম ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার ভাল হয়। কারণ অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খেলে ও পানি কম খেলে শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য ও পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতারিতে টক দই, চিড়া ও ফলের রসসহ হালকা খাবার থাকলে ভাল। আর ভাজাপোড়ার বদলে গ্রিল ও বেক করা খাবার এবং সব্জি খাওয়া ভাল। সঙ্গে প্রচুর পানি খেতে হবে।

ইফতারে খাবার সুষম হওয়া জরুরি। শুধু ইফতারই নয়, সেহরির খাবারেও আমাদের বিশেষ নজর রাখতে হবে। এ ব্যাপারে পুষ্টিবিদ জিনাত লায়লা বাণী বলেন, সেহেরিতে ভাতের সঙ্গে মুরগীর মাংস ও মাছ থাকলে ভাল। কারো হৃদরোগের সমস্যা বা রক্তচাপ না থাকলে গরু বা খাসির মাংস খেতে পারেন। আর এসব সমস্যা থাকলে মুরগীর মাংস ও সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। একইসঙ্গে সেহরিতে ভাত-মাছ-মাংস-সব্জি’র সঙ্গে এক গ্লাস দুধ খাওয়া উচিত।

সারাদিন রোজা রাখার পর ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কি হয় তা বোঝা যায় না। তাই রোজার আগেই তাদের খাওয়ার আগে ও পরে গ্লুকোজের পরিমাণ পরীক্ষা করে নিতে পরামর্শ দিলেন এই পুষ্টিবিদ। তার মতে, এক মাস রোজা রাখার পর ঈদের বিশেষ খাবারও সুষম হতে হবে। আশা করি এই দিকটি সকলেই খেয়াল রাখবেন। প্রিয় শ্রোতামন্ডলী, আপনাদের জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:42 0:00
সরাসরি লিংক

XS
SM
MD
LG