অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের ৩২তম সম্মেলন ও আঞ্চলিক কমিটির ৬৭তম অধিবেশন


শরীফ উল হক
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায়- ইউএসএআইডি এবং ভয়েস অফ আমেরিকা

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের ৩২তম সম্মেলন এবং আঞ্চলিক কমিটির ৬৭তম অধিবেশন। সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রায় ২শ প্রতিনিধি যোগ দেন । এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনের প্রথম দিন বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. মার্গারেট চ্যান, ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ড.হর্ষবর্ধন, দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পুনাম ক্ষেত্রাপাল । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটি সুস্থ্ জাতি গড়ে তোলার জন্য সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার । তিনি আরো বলেন, এমডিজি ৫ অর্জনের পথে রয়েছে বাংলাদেশ এবং দারিদ্রের হার ২০০৫ সালে ৪০ শতাংশ থেকে কমে ২৫ শতাংশ হয়েছে।

দক্ষিন-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সম্মেলন ঢাকা আহবান করায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান । তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে ১৩ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশাপাশি ই-হেলথ এবং টেলিমেডিসিন সেবা চালু আছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে পোলিও এবং কুষ্ঠ রোগ নির্মূল হয়েছে । দেশের ওষুধ শিল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোট চাহিদার ৯৭ শতাংশ দেশীয় উৎপাদন থেকে দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে ৮৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানী করা হচ্ছে।

এই অঞ্চলের প্রায় ১৪০ কোটি মানুষ ম্যালেরিয়া, ৮৭ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ লিম্ফ্যাটিক ফাইলারিয়াসি এবং ১৪ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষ কালাজ্বরের ঝুঁকিতে রয়েছেনশ। বিশ্বের ৫২ শতাংশ ডেঙ্গু রোগীর বসবাস এ অঞ্চলে । ভেক্টর বাহিত রোগ নির্মুলে ১১ দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা ঢাকা ঘোষণায় একমত হয়েছেন। এছাড়াও নিজ নিজ দেশ থেকে ভিসেরাল লিইশম্যানিয়াসি বা কালাজ্বর নির্মুলে পাঁচটি দেশ একটি সমঝোতা স্মারকে সাক্ষর করেছে। যদিও বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ কালাজ্বর নির্মূল হয়েছে, এই সমঝোতা স্মারকের ফলে শতভাগ নির্মূল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিম। এবং ভারতের সাথে সনাতন ওষুধ লেনদেন বিষয়ে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পুনম ক্ষেত্রপাল সিং-এর উদ্যোগে চলতি বছর থেকেই চালু হয়েছে অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিসঅর্ডার মোকাবেলায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ডব্লিউএইচও ‘এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’। ২০১৪ সালে ‘এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পরামর্শক মনোস্তত্ত্ববিদ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

এই সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা আরো আধুনিক এবং মানুষের দোরগোঁড়ায় পৌঁছবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট সবাই।

XS
SM
MD
LG