অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শিক্ষা বৈষম্য দুরীকরণে : টিচ ফর বাংলাদেশ


শরীফ উল হক
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায়- ইউএসএআইডি এবং ভয়েস অফ আমেরিকা

বাংলাদেশে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশু-কিশোরদের শিক্ষার উন্নয়নে এবং শিক্ষা বৈষম্য দুরীকরণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে ‘টিচ ফর বাংলাদেশ’। ২০১২ সালের নভেম্বরে ‘টিচ ফর বাংলাদেশ’ ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ‘টিচ ফর অল’ এর ২৭তম অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশে কাজ শুরু করে।
বাংলাদেশে প্রায় ৫০ শতাংশ শিশু প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পৌঁছার আগেই ঝড়ে পরে। সবচেয়ে আশংকাজনক তথ্য হচ্ছে দশম শ্রেণীতে পৌঁছার আগেই ৮৯ শতাংশ শিক্ষার্থী হারিয়ে যায়। বাংলাদেশে যেখানে শিক্ষার্থীরা বছরে ৫৯০ ঘণ্টারও কম সময় স্কুলে কাটায় সেখানে, চীনে একজন শিক্ষার্থী ১২০০ ঘন্টা ব্যয় করে স্কুলে।

এই অবস্থায় শিক্ষা পরিস্থিতির উন্নয়নে ‘টিচ ফর বাংলাদেশ’ কাজ শুরু করে বাংলাদেশে। ‘টিচ ফর আমেরিকার’ অনুকরণ বাংলাদেশে এই অনুক্রম শুরু হয়।
‘টিচ ফর বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা মাইমুনা আহমেদ বললেন, এটি একটি মুনাফাবিহীন সংস্থা। ‘টিচ ফর বাংলাদেশ’ দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করা গ্র্যাজুয়েটদের দুই বছরের ফেলোশিপ এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত করে। দুই বছর পর ‘টিচ ফর বাংলাদেশে’র ফেলোরা অ্যালামনাই হিসেবে ‘টিচ ফর বাংলাদেশ’র ভবিষৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারনে ভূমিকা রাখেন। মুনাফাবিহীন সংস্থা হলেও এখানকার ফেলোদের মাসিক সম্মানী দেয়া হয়।

‘টিচ ফর বাংলাদেশ’র ফেলোগণ শুধুমাত্র শ্রেণী কক্ষে শিক্ষাদান করেই দ্বায়িত্ব শেষ করেন না। শিক্ষার্থীদের বাবা-মা’র সাথে যোগাযোগ করেন এবং উৎসাহীত করেন সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে। সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের সাথে কাউন্সেলিং করেন তাদের সমস্যা সমাধানে।

সমাজের সুবিধা-বঞ্চিত শিশুরা একদিন শিক্ষিত হয়ে বেড়ে উঠবে, নেতৃত্ব দেবে দেশের, সাজিয়ে দেবে তাদের পরিবার এবং দেশের মানুষের স্বপ্ন গুলোকে। সেই সুপ্ত বাসনা থেকেই ‘টিচ ফর বাংলাদেশ’ কাজ করে যাচ্ছে।

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:35 0:00
সরাসরি লিংক

XS
SM
MD
LG