অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

প্লেইন প্যাকেজিং: তামাক নিয়ন্ত্রণে আগামী দিন


প্লেইন প্যাকেজিং: তামাক নিয়ন্ত্রণে আগামী দিন

‘প্লেইন প্যাকেজিং: তামাক নিয়ন্ত্রণে আগামী দিন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৩১ মে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে পালিত হবে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০১৬।

তামাকের ব্যবহার কমাতে প্লেইন প্যাকেজিং অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি। এর মাধ্যমে তামাকের মোড়ক ব্যবহারকারীর কাছে আকর্ষণহীন করে তোলা হয়। এই পদ্ধতিতে তামাক ও তামাকজাত পণ্যের প্যাকেট বা কৌটার গায়ে কোন প্রকার প্রচারণামূলক ও বিভ্রান্তিকর শব্দ ব্যবহারের সুযোগ থাকে না যা ছবিযুক্ত স্বাস্থ্য সর্তকবাণীর কার্যকারিতা বাড়াতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তামাক নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক চুক্তি এফসিটিসি’র (ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল) ১১ ও ১৩ ধারা অনুযায়ী, প্লেইন প্যাকেজিং প্রবর্তনের নির্দেশনা থাকলেও এখন পর্যন্ত একমাত্র অস্ট্রেলিয়া (২০১২ সালে) এই পদ্ধতি চালু করতে সক্ষম হয়েছে। বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশও প্লেইন প্যাকেজিং প্রবর্তনের পথে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞ সৈয়দ মাহফুজুল হক বলেন,বাংলাদেশ ইতিমধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জারি হয়েছে। ২০১৩ সালে এই আইনটি সংশোধন করে আরো শক্ত করা হয়েছে। সরকার, নাগরিক সমাজ, এনজিও ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ইতিমধ্যে সুফল দিতে শুরু করেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার ইতিমধ্যেই কমতে শুরু করেছে। তামাক নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলোর অন্যতম হচ্ছে তামাকজাত পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী দেয়া। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে এটি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি তামাক ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এই তামাক চাষের কারণে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে, পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে এবং তামাক সেবনের কারণে অনেক মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর মারা যাচ্ছেন। তাই তামাক প্রতিরোধের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে তামাকজাত পণ্যে প্লেইন প্যাকেজিং এর ব্যাপারে কাজ করছে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে সৈয়দ মাহফুজুল হক বলেন,

পৃথিবীর যে কোন দেশ প্লেইন প্যাকেজিং চালু করতে গিয়েছে তাদের সামনে বড় বাধা ছিল ইন্ডাস্ট্রি। বাংলাদেশের যখনই এটি চালু করতে চেষ্টা করবে তখন বড় বাঁধা আসবে ইন্ডাস্ট্রি থেকেই। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ যারা তামাকজাত পণ্যে ক্লিন প্যাকেজিং চালু করবে।

বাংলাদেশকে তামাকজাত পণ্যে প্লেইন প্যাকেজিং চালু করার জন্য সরকারের দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ। এদিকে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশণার মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যে দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছে সরকার। এখন এই পথে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ হবে প্লেইন প্যাকেজিং চালু করা।

আঙ্গুর নাহার মন্টি, ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার

সহযোগিতায়: ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:58 0:00
সরাসরি লিংক

XS
SM
MD
LG