অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস-২০১৫


শরীফ-উল-হক
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায়- ইউএসএআইডি এবং ভয়েস অফ আমেরিকা

নিরাপদ মাতৃত্ব প্রতিটি মায়ের অধিকার। মায়ের গর্ভকালীন সুস্থ্যতাই পারে একটি সুস্থ্য শিশু জন্ম দিতে। ২৮ মে বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস-২০১৫। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য 'প্রতিটি জন্মই হোক পরিকল্পিত, প্রতিটি প্রসব হোক নিরাপদ'।

প্রসবকালীন সময়ে বিভিন্ন জটিলতা হতে পারে মায়ের। আমরা কথা বলেছিলাম, ডা.হালিদা এইচ আক্তার এর সাথে। তিনি ইউএসএআইডি-এনজিও হেলথ সার্ভিস ডেলিভারি প্রজেক্ট,এনএইচএসডিপি বাংলাদেশ এর চিফ অফ পার্টি। তিনি আমাদের বললেন, প্রসবকালীন সময়ে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। রক্তচাপ বেশী হতে পারে, মাথা ঘুরতে পারে,রক্তক্ষরণ হতে পারে সাথে খিচুঁনি। এইসব জটিলতা থেকে মাকে নিরাপদ রাখতে হবে। তাতে নিরাপদ থাকবে অনাগত শিশু।

দিবসটি উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপ্রতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, সকল গর্ভবতী মায়েদের গর্ভকালীন পরিচর্যা ও নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। ডা. হালিদা গর্ভকালীন পরিচর্যা নিয়ে বললেন,গর্ভকালীন সময়ে অন্তত চারবার ডাক্তারের কাছে যেতে হবে নিয়মিত। সাথে সাথে সুষম খাবার এবং পর্যাপ্ত ঘুমের দরকার মায়ের। বেশী ভারী কাজ করা যাবে না যাতে করে শরীরে চাপ পড়ে।

বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান দিবসটি উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচী পালন করেছে। উদ্দেশ্য মা এবং তাদের পরিবারকে সচেতন করা। একজন গর্ভবতী মায়ের যেকোন সময় জটিলতা দেখা দিতে পারে এই ব্যাপারটি পরিবারের জানা খুব এবং সম্পর্কে সচেতন থাকা খুব গুরুত্বপূর্ন। উচ্চ রক্তচাপের জন্য রক্তচাপ নিয়মিত মাপতে হবে যাদের ডায়বেটিস আছে তাদের তা নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। সর্বোপরি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রুটিনের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে জীবনকে।


বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৫৫ শতাংশ মায়ের নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত হয়েছে। এখনো ৬৮ ভাগ প্রসব বাড়িতে হয় এবং মাত্র ৩২ ভাগ প্রসব হয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের দ্বারা।শতকরা ৫১ ভাগ মায়ের মৃত্যুই রক্তক্ষরণ ও খিঁচুনির কারণে হয়ে থাকে।প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ, খিঁচুনি, গর্ভকালীন জটিলতা, ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা ও পরিবারের অবহেলা মাতৃমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।

২০০১ সালে প্রতি লাখে মাতৃমৃত্যু হার ছিল ৩২২ জন। ২০১০ সালে ১৯৪ এবং ২০১৫ সালের মধ্যে এই হার ১৪৩ এ নিয়ে আসার লক্ষ্য এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী।

please wait
Embed

No media source currently available

0:00 0:02:54 0:00
সরাসরি লিংক

XS
SM
MD
LG