অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রমজানে স্বাস্থ্য


শরীফ-উল-হক
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায়- ইউএসাইডি এবং ভয়েস অফ আমেরিকা

ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রমযান মাসের রোযা অন্যতম। এসময় দিনকে রাত আর রাতকে দিনের মত করে যাপনের ব্যবস্থা থাকার ফলে খাদ্যাভাসের পরিবর্তন সাধিত হয়। আমাদের দেশে রমজান এলেই খাবারের ধুম পরে যায়। ইফতারের সময় নানারকম মুখরোচক খাবারের বাহার আমাদের সামনে হাজির হয়। যার মধ্যে ভাজা-পোড়া খাবারের কদর বেশি। দোকানের বেশিরভাগ ইফতার পুরোনো তেলে ভাজা হয়। একই তেল বারবার ব্যবহার করার ফলে তা থেকে ‘পলি নিউক্লিয়ার হাইড্রোকার্বন’ তৈরি হয়। যার মধ্যে ‘বেনজা পাইরিন’ নামক ক্যান্সার হতে পারে এমন পদার্থের মাত্রা বেশি থাকে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. শেখ মাহমুদ কামাল বললেন, ভাজা-পোড়া খাবার খাওয়ার ফলে পেটের পীড়া সহ নানারকম রোগের সৃষ্টি হয়। বদহজমের সমস্যাও হয়।
দীর্ঘ একমাসের সংযমের পর আবারো আমরা ফিরে যাব নিয়মিত খাদ্য তালিকায়। হঠাৎ এই পরিবর্তনে শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়া ব্যাহত হয়। রমজানের পর প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সুষম খাদ্যের পরিমান বেশি থাকা উচিত। ফলমূল এবং পানি খাওয়ার উপর বেশি জোর দিয়েছেন ডা. শেখ মাহমুদ। সকালের খাবারে রুটি, ফলের জুস। দুপুরের খাবারে পুষ্টিকর খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে। রাতে হাল্কা খাবার খেতে হবে, কারণ রাতে যদি খাবার ভারী হয় তাহলে মুটিয়ে যাবার সম্ভাবনা থেকে যায়।
বাজারের ভোজ্য তেলে ভেজাল হিসেবে দেয়া হয় ইরূসিক এসিড এবং এলাইল আইসোথায়োনেট, যা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। এছাড়া, এলাইল আইসোথায়োনেট চোখ ও ফুসফুসের ও ক্ষতি করে। তাই সবচেয়ে ভাল হয়, সয়াবিন তেলের বদলে যদি সরিষার তেল অথবা সূর্যমুখীর তেল খাওয়া যায়।

আসুন আমরা আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমিষ এর পরিমাণ বেশি রেখে শাক-সবজ়ি, বিশেষ করে সবুজ শাক বেশি পরিমাণে গ্রহণ করি।
please wait

No media source currently available

0:00 0:02:48 0:00
সরাসরি লিংক
XS
SM
MD
LG