মিশরের নতুন ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদ , সরকারী কর্মচারিদের সমালোচনা করেছে , যারা প্রেসিডেন্ট মুবারক উৎখাত হবার পর বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট ও প্রতিবাদ করছে।
আজ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একজন সামরিক মুখপাত্র নতুন একটি বিবৃতি পড়ে শোনান যাতে বলা হয়েছে যে দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে দিতে এই সব গোলযোগ বন্ধ করতে হবে।
মিশরে শ্রমিক অসন্তোষের অংশ হিসেবেই হাজার হাজার সরকারী কর্মচারি প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কয়েক শ লোক আজ তাহরির স্কয়ারে সমবেত হয় , তবে তার সংখ্যা ছিল গত দু সপ্তায় সেখানে সমবেত হাজার হাজার লোকের তুলনায় অত্যন্ত কম।
ও দিকে কোথাও কোথাও মিশরের পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারিদের সঙ্গে বিক্ষোভে , অবস্থান ধর্মঘটে যোগ দিয়েছে , বেতন বৃদ্ধির দাবিতে। ও দিকে ব্যাঙ্ক কর্মচারিদের ধর্মগটের কারণে মিশরে ব্যাংক বন্ধ রয়েছে।
সাবেক একজন বিক্ষোভকারী গিহান মোহামেদ বলছেন যে দেশের লোক এখন অর্থনীতির ব্যাপারে উদ্বিগ্ন।তিনি বলেন এক কদম এগুনো সম্ভব হয়েছে। তবে দেশ যে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে , তা ঠিক করতে বেশ সময় লেগে যাবে।এদিকে প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শফিক বলছেন যে মিশরে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ফিরিয়ে আনতে হবে , আনতে হবে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বোধ ও।
এ দিকে মিশরের গণতন্ত্রপন্থি সক্রিয়বাদি ওয়ালে ঘোনিম বলছেন যে দেশের নতুন সামরিক শাসকরা তাকে আশ্বাস দিয়েছেন , সংশোধিত সংবিধানের ব্যাপারে দু মাসের মধ্যেই সেখানে গণভোট হবে। ঘোনিম এবং ব্লগার আমর সালামা তদের ওয়েব সাইটে বলেছেন যে সামরিক পরিষদের সঙ্গে গতকালের আলোচনায় এই আশ্বাস আদায় করা সম্ভব হয়েছে।