ইউরোপীয় নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে প্রাথমিকভাবে অভিনন্দন জানালেও সার্বিকভাবে তারা প্রায় সবাই ভেতরে ভেতরে উদ্বিগ্ন। দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার মন্তব্য হলো, মুখে তাদের অভিনন্দন থাকলেও তারা তাদের স্নায়ুচাপ লুকাতে পারছেন না। অনিশ্চয়তার বুদবুদ ছড়িয়ে পড়ছে। অবশ্য তারা সতর্কতার সঙ্গে আশাবাদও ব্যক্ত করছেন।
মিস্টার ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায়, বিভিন্ন ইস্যুতে যা বলেছিলেন, তার বাস্তব কর্মকৌশল তা থেকে যথেষ্ট ভিন্ন হলেও হতে পারে। এই অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা রোববার এক বৈঠকে বসছেন। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আগামী চার বছরের গতিধারা নির্ধারণে আগেভাগেই ইউরোপীয় একটি সম্মেলনে ডনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড টাস্ক। ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ জাঙ্কারও একইভাবে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে তারা তাদের একটি যৌথ বিবৃতিতে রাশিয়ার কর্মকা-, টিটিআইপি বাণিজ্য চুক্তির জটলা এড়িয়ে এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণসহ ইইউ’র সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে রিপাবলিকানদের প্রতি আহবান জানান। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইএসের মতো চ্যালেঞ্জ, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতার মতো বিষয়ে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্টভাবে সহযোগিতামূলক কাজ করে যেতে পারে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ ও জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মার্কেল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভবিষ্যৎ মতানৈক্য নিয়ে এমন বিবৃতি দিয়েছেন।
লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।