যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের অনুরোধে সুইজ্যারল্যাণ্ডের পুলিশ বুধবার বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার এই কর্মকর্তাদের আটক করে। সুইস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তারা লাখ লাখ ডলার ঘুষ নিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সুইস ফেডারেল অফিস অব জাস্টিস জানায়, ওই কর্মকর্তারা নব্বইয়ের দশক থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি ডলার ঘুষ নিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
যাদের গ্রেফতার করা হয় তাদের মধ্যে আছেন ফিফার উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের কনফেডারেশনের প্রধান সহ-সভাপতি জেফরি ওয়েব এবং আরেক সহ-সভাপতি ইউজেনিও ফিগুয়েরদো। ওদিকে সুইস কর্তৃপক্ষ ২০১৮ ও ২০২২ সালে বিশ্বকাপের আয়োজক নির্ধারণ নিয়ে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে। সুইস ফেডারেল অফিস অব জাস্টিস জানায়, গ্রেফতার হওয়া কর্মকর্তারা নব্বইয়ের দশক থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকায় অনুষ্ঠিত ফুটবল টুর্নামেন্টে 'প্রায় ১০ কোটি ডলার' ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
আপনারা জানেন, ২০১৮ বিশ্বকাপ রাশিয়ায় এবং ২০২২ বিশ্বকাপ হবে কাতারে।
অতীতেও ফিফার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ফ্রান্সের মিশেল প্লাতিনি সোচ্চার হয়েছিলেন।
আলোচনায় কলকাতা থেকে যোগ দিচ্ছেন ক্রীড়া ভাষ্যকার সাংবাদিক জয়ন্ত চক্রবর্তী এবং ঢাকা থেকে ক্রীড়া সাংবাদিক দিলু খোন্দকার।
ফিফার কর্মকর্তাদের গ্রেফতার এবং দুর্নীতির ঘটনাকে সংস্থার জন্য এক কঠিন সময় উল্লেখ করে ফিফার মুখপাত্র ওয়াল্টার ডি গ্রেগরিও বলেন, "এটা আমাদের জন্য কঠিন সময়, কিন্তু ফিফার জন্যে এটা ভালো। কারণ এটা নিশ্চিত করে যে, আমরা সঠিক পথেই আছি। এটা সহজ নয় কিন্তু এটাই চলার সঠিক পথ।"
শুনুন বিস্তারিত আলোচনা।