অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্র জি সেভেনে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি দিল না


জি-৭ সন্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু নিয়ে ঐকমত্যে পৌছুতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র ।
শিল্পোন্নত সাতটি দেশের সম্মেলন জি-সেভেন এর চূড়ান্ত ইশতেহারে যুক্তরাষ্ট্র ব্যতিত অন্য দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্রতা হ্রাসের বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় লিখেছেন ”আমি প্যারিস চুক্তি নিয়ে আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।” ইশতেহারে বলা হয়েছে , ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী দু’বছর আগে বিশ্বের যে ১৯৫টি দেশ বাতাসে কার্বন দূষনের মাত্রা কমাবার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছিল সেখান যুক্তরাষ্ট্র থাকবে কিনা তা জানাতে যুক্তরাষ্ট্রের “আরো সময় প্রয়োজন ”।


ইশতেহারে আরো বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নীতিমালা এবং প্যারিস চুক্তি নিয়ে পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে এই কারণে আমি ঐকমত্যে পৌঁছানোর অবস্থায় নেই। ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে কানাডা, ফ্রান্স,জার্মানী,ইটালী,জাপান ও যুক্তরাজ্যের সরকার প্রধান এবং ইরোপীয়ান কমিশন খুব দ্রুত প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে জোরালো সিদ্ধান্ত পুঃনব্যাক্ত করেছে।

সাতটি রাষ্ট্র গোষ্ঠি জি সেভেন এর মধ্যে ছ ‘টি দেশই প্যারিস জলবায়ু চুক্তির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি আবারও নিশ্চিত করতে সম্মত হয়েছে। একজন ফরাসি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে যে জলবায়ু সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র তার নীতি মূল্যায়ন করে দেখছে। অবশিষ্ট ছ টি দেশ , যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে মাথায় রেখেই জলবায়ু চুক্তির প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে।

ট্রাম্প এর আগে মানুষের তৈরি এই বিশ্ব উষ্ণায়নকে ভাঁওতাবাজি বলে অভিহিত করেছিলেন। অর্থনীতি বিষয়ক প্রেসিডেন্টের প্রধান উপদেষ্টা গ্যারি কন বলেন যে, বিশ্বের নের্তৃবৃন্দের কাছ থেকেই ট্রাম্প এ সম্পর্কে জানছেন যাতে করে তিনি দু'বছর আগে স্বাক্ষরিত জলবায়ু বিষয়ক প্যারিস সম্মেলনে দেওয়া গ্রীন হাউজ গ্যাস নিষ্ক্রমণ কমানোর ব্যাপারে ওয়াশিংটনের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মানবেন কী না।

নেতারা জলবায়ু বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে সংবাদদাতাদের গতকালই বলেন যে, এই আলোচনায় কোন সন্দেহই নেই যে এই ইস্যুটি ট্রাম্পসহ সকলের কাছে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ।

XS
SM
MD
LG