বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের যুদ্ধ, সংঘাত পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ’ এবং ঢাকায় বিশেষজ্ঞগণ বলছেন যে, মিয়ানমারের রাখাইন এলাকায় ‘হারাকা আল ইয়াকীন’ নামে একটি জঙ্গী সংগঠনের জন্ম নিয়েছে এবং এটি বিস্তার লাভ করছে। এই সংগঠনের নেতা আতাউল্লাহ এবং এর ঊর্ধ্বতন নেতারা সৌদি আরবে ট্রেনিং প্রাপ্ত। আর স্থানীয় পর্যায়ে রোহিঙ্গাদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এবং আধুনিক গেরিলা যুদ্ধ কৌশল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ক্রাইসিস গ্রুপের মতে, ‘হারাকা আল ইয়াকীন’ এখনো আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনগুলোর সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে -এমন তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এমন সংযোগ থাকতেও পারে-এমনটা মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষণ জেনারেল (অব.) মুনীরুজ্জামান।
তথ্য মতে, এই সংগঠনের নেতারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জঙ্গীদের সাথে খুবই ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। ভারতের জঙ্গীদের সাথেও তাদের সম্পর্কটিও উড়িয়ে দেয়া যায় না। জেনারেল মুনীরুজ্জামান ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেছেন, ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর সংবাদ ম্যাগাজিন ‘দাবিক’ এর উপরে ইতোমধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এদিকে, ক্রাইসিস গ্রুপ ইঙ্গিত দিয়েছে যে, অস্ত্রকারবারী এবং বাংলাদেশী জঙ্গীদের সাথে অস্ত্র পাচারের বিষয়ে ওই সংগঠনটির সম্পৃক্ততা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ এবং ক্রাইসিস গ্রুপ মনে করছে, রাখাইনের রোহিঙ্গাদের বিষয়টি যদি ওই দেশের সরকার যথাযথভাবে মিটিয়ে ফেলতে ব্যর্থ হয় এবং জবাবটি যদি নিরাপত্তা দিক দিয়ে কড়া হয়-তবে বিষয়টি হিতে বিপরীত হতে পারে। তাছাড়া যদি তাদের আরও দেশত্যাগ বাধ্য করা হয়, তবে ওই জঙ্গী সংগঠনটির বিস্তার লাভ হবে ব্যাপকভাবে।
হারাকা আল ইয়াকীন সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিচ এ্যন্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ-এর প্রধান অবসারপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মুনীরুজ্জামান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হারাকা আল ইয়াকীনের বিস্তার বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলে ঘটতে না পারে সে লক্ষ্যে আগেভাগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ খুবই জরুরি।...... ঢাকা থেকে আমীর খসরু