অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মৃত ব্যক্তির আত্মীয় পরিজনকে নিহতের রক্তের বদলে অর্থজরিমানা দেবার প্রস্তাব দিয়েও ফল হয়নি


মৃত ব্যক্তির আত্মীয় পরিজনকে নিহতের রক্তের বদলে অর্থজরিমানা দেবার প্রস্তাব দিয়েও ফল হয়নি
মৃত ব্যক্তির আত্মীয় পরিজনকে নিহতের রক্তের বদলে অর্থজরিমানা দেবার প্রস্তাব দিয়েও ফল হয়নি

বিশ্ব সংবাদে বলা হয় সৌদি আরবে কর্মরত ১৩ বাংলাদেশি এক গুদামে ডাকাতি ও ঐ গুদামের নিরাপত্তা রক্ষী মিশরীয় নাগরিক হুসেইন সাঈদ মোহাম্মেদ আব্দুল খালেককে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন সৌদি শরিয়া আদালতে। এঁদের মধ্যে ৮ বাংলাদেশির প্রানদন্ড এবং বাকি তিনজনের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদন্ডের বিধান দেওয়া হয় শরিয়া আইনের অধীনে।

ঐ আট বাংলাদেশি নাগরিক মামুন আব্দুল মান্নান, ফারূক জামাল, সূমন মিয়া, মোহাম্মেদ সূমন, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, শামসুল হক, আবু আল হুসেইন আহমেদ এবং মুতির আল রহমানের মৃত্যদন্ড কার্যকর করা হয় রিয়াদে শরিয়া আইন মোতাবেক তাঁদের শিরচ্ছেদ করে।

রিয়াদে, বাংলাদেশ দূতবাসে কর্মরত লেবার কাউন্সেলার এস এম হারূনূর রশিদ ভয়েস অফ এ্যামেরিকার সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে জানান, বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে, দূতবাসের তরফে, সৌদি আরবের শরিয়া আদালতের ঐ রায় মওকুব করানোর সর্বোতো চেষ্টা চালিয়েও কোনো ফল হয়নি।

শরিয়া আইন মোতাবেক খুনের দায়ে অভিযুক্ত কারো প্রাণভিক্ষা একমাত্র নিহতের আত্মীয় পরিজন মাফ করলেই কেবল তা খারিজ হতে পারে আর কারোরই তা মওকুব করবার কোনো এখতিয়ার নেই।

বাংলাদেশ দূতাবাস মিশরীয় ঐ নিহত ব্যক্তির আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে সূপারিশ-দরবার করেও সফল হতে পারেনি। এমন কি মৃত ব্যক্তির আত্মীয় পরিজনকে রক্তের বদলে অর্থজরিমানা দেবার প্রস্তাব দিয়েও ফল হয়নি বলে জানান হারূনূর রশিদ। শুধু তাই নয় – ঐ আট ব্যক্তির শিরচ্ছেদ করে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার পর তাঁদের দাফন কাজও সম্পন্ন হয়ে গেলে, তবেই তাঁদের মৃত্যু সংবাদ বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানানো হয় বলে উল্লেখ করেন দূতাবাসের লেবার কাউন্সেলার এস এম হারূনুর রশিদ।

XS
SM
MD
LG