বর্তমানে বাংলাদেশের ৮২ শতাংশ শিশুকে টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী (ইপিআই) শতভাগ সাফল্যের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। এমন বাস্তবতায় অ ন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২৪ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পালিত হবে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ ২০১৬।
বর্তমানে ইপিআই এর আওতায় পোলিও, যক্ষা, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, ডিপথেরিয়া, হেপাটাইটিস বি, হাম-রুবেলা, হেমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়া প্রতিরোধে টিকা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের টিকাদান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ইপিআই এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. মো. তাজুল ইসলাম বারী বলেন, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস বি ও হেমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা এই পাচঁ রোগ প্রতিরোধের টিকার প্রথম ডোজটি এক ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রথমে ৬ সপ্তাহে, এরপর ১০ সপ্তাহে ও ১৪ সপ্তাহ বয়সে তৃতীয় ডোজটি দেয়া হয়। হাম-রুবেলার টিকাটি (এমআর) দুইবার দেয়া হয়। ৬ সপ্তাহ বয়সী শিশুদের যক্ষা থেকে রক্ষা করতে বিসিজি টিকা দেয়া হয়। ওরাল পোলিও ভ্যাকসিন তিনবার দেয়া হয়। এরসঙ্গে আছে ইনএক্টিভেটেড পলিও ভ্যাকসিন-আইপিভি যা একবার দেয়া হয়। এছাড়াও গত বছর থেকে নিউমোনিয়ার টিকা দেয়া হচ্ছে।
এই টিকাগুলো ছাড়াও মেয়েদের জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে নতুন আরো একটি টিকা পাইলট প্রকল্প আকারে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০১৬-১৭ এই দুই বছরে পাইলট প্রকল্পের আওতায় গাজীপুর জেলায় ১০ বছর বয়সী মেয়েদের জরায়ুর ক্যান্সার প্রতিরোধে গত ১৬ এপ্রিল নতুন একটি টিকা চালু হয়েছে।
টিকাদান কর্মসূচীর চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে ১১টি টিকা দেওয়া হচ্ছে। ৮২ শতাংশ শিশু সব টিকা পেলেও ১৮ শতাংশ বাদ পড়ে যাচ্ছে। সবগুলো টিকা দিতে ৬ বার শিশুকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনতে হয়। অনেক মা বা অভিভাবকই বিষয়টি জানে না। আবার দেশের এক লাখ ৪০ হাজার টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে জনবলও অপ্রতুল।
টিকাদান কর্মসূচীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য দেখিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্রুত শতভাগ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবে।
আঙ্গুর নাহার মন্টি, ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা