রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান, মোহন ভাগবত যেন মৌচাকে ঢিল ছুঁড়েছেন। আর এস এস-এর মুখপত্রে তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, দেশের সংবিধানে হিন্দু ধর্মের দলিত অংশ ও নিম্ন বর্ণের মানুষদের জন্য সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যে সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে, তার পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে। আর তাতেই একেবারে রে-রে করে উঠেছেন বিহারের দুই পশ্চাদপদ গোষ্ঠীর নেতা লালু প্রসাদ ও নীতিশ কুমারের মত নেতারা। সামনেই বিহার বিধানসভায় নির্বাচন। কাজেই ভাগবতের এই মন্তব্যকে বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারে কাজে লাগাতে শুরু করেছেন তাঁরা। অথচ, সংবিধানে কেবল দশ বছরের জন্য সংরক্ষণের কথা বলা হলেও ইতিমধ্যেই সাড়ে ছয় দশক কেটে যাবার পর দেখা যাচ্ছে, হিন্দু সমাজে জাতপাত যেন আরও ব্যাপক চেহারা নিচ্ছে। সংরক্ষণের সুবিধাভোগী শ্রেণীর মানুষ ও তাঁদের নেতারা সংরক্ষণের কোনও রকম রদবদলে প্রবল বাধা দেন। এমনকি, জাতের বদলে আর্থিক অবস্থার নিরিখে সংরক্ষণের প্রস্তাবেও এঁদের প্রবল আপত্তি।