অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জঙ্গি কার্যকলাপের তথ্য জোগাড়ে সফল পশ্চিমবঙ্গের নতুন গোয়েন্দা বাহিনী লিউ


ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি-জেহাদি কার্যকলাপ এবং সেই কাজের শক্তির উত্থান সম্পর্কে তৃণমূলস্তরের তথ্য জোগাড়ে রাজ্যের নতুন গোয়েন্দা বাহিনীর কাজে সাফল্য আসতে শুরু করেছে। কেন্দ্রের সাবসিডিয়ারি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর এসআইবি'র ধাঁচে তৈরি এই বাহিনীর নাম ‘লোকাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ সংক্ষেপে ‘লিউ’।

রাজ্যের সব জেলায় কাজ করছে লিউ। ইতোমধ্যেই রাজ্যের মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনার মতো জেলায় লিউ এর গোয়েন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে অপরাধ দমনে সাফল্যও এসেছে। এমনকি জাল নোটের কারবারি, জঙ্গি নেটওয়ার্কের স্লিপার সেলের হদিশ এবং উসকানিমূলক গুজব ছড়ানোর কাজে লিপ্ত কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা গিয়েছে সেই তথ্য থেকেই।

প্রসংগত বলা যেতে পারে, গত দুহাজার চোদ্দো সালের দোসরা অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পর রাজ্যের যে সাতটি জেলায় জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন-এর গোপন মডিউলের খোঁজ মিলেছিল, সেখানে গত ডিসেম্বর মাস থেকে কাজ শুরু করে দিয়েছে লিউ। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন এই গোয়েন্দা সংস্থার কাজ আরও গতি পেয়েছে।

রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকা এই গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশের কোনও সংস্রব থাকছে না। লিউ এর গোয়েন্দারা রিপোর্ট করেন, স্টেট ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টর দপ্তরে। সেই রিপোর্টই যায় মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে থাকা স্বরাষ্ট্র দপ্তরে। কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ থেকে বাছাই করা দক্ষ কর্মী-অফিসারকে আপাতত ডেপুটেশনে নিয়ে এসে পথ চলা শুরু করেছিল লিউ। কলকাতা থেকে পরমাশিষ ঘোষ রায়।

XS
SM
MD
LG