অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জিয়াউর রহমান কর্ণেল তাহেরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন :আনোয়ার হোসেন


বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কর্ণেল তাহের
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কর্ণেল তাহের

এক সময়কার মুক্তিযোদ্ধা এবং পঁচাত্তরের ৭ই নভেম্বরের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্ণেল আবু তাহেরকে ১৯৭৬ সালে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ফাঁসি দিয়ে মৃত্যু দন্ড দেওয়া হয় । সম্প্রতি কর্নেল তাহেরের স্ত্রী এবং তাঁর ভাই ঐ মামলা ও দন্ডের যৌক্তিকতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রীট আ্দেন করেছেন। কর্নেল তাহেরের ভাই এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড আনোয়ার হোসেন , যিনি নিজেও ১৯৭৫ সালের ঐ ঘটনায় কারাদন্ড ভোগ করেছিলেন , ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা বিভাগের সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী আদালতের রায়ে বাতিল হওয়ায় তাঁরা এখন কর্নেল তাহেরের ঐ হত্যার এবং সংশ্লিষ্টদের কারাদন্ড দেওয়ার বিষয়ে প্রয়্জেনীয় নথিপত্র দেখতে চাইছেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কর্ণেল তাহের
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কর্ণেল তাহের

অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন যে কর্নেল তাহের এর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছিল সেগুলো সবই অমূলক । তাহের বৈধ ও নির্বাচিত কোন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাননি বরঞ্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বৈধ সরকারকে যারা অবৈধ ভাবে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল এবং তাকে সপরিবারে হত্যা করেছিল, তিনি তাদের বিরুদ্ধেই সক্রিয় হয়েছিলেন। অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন এই সাক্ষাতকারে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে জেনারেল জিয়া মূলত বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়েছিলেন এবং তিনি কর্ণেল তাহেরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। তাহের তাঁকে বন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন এই প্রত্যাশায় যে দেশে বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের বিচার হবে কিন্তু জেনারেল জিয়া মূলত মুজিবের খুনিদের পুরস্কৃত করলেন।

অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন যে এই মামলার রাজনৈতিক প্রভাব হচ্ছে এই যে দীর্ঘদিন ধরে জিয়াউর রহমান যে অবিতর্কিত নেতা হিসেবে থেকেছেন সেই ভ্রান্ত ধারণার অবসান ঘটবে এবং কর্ণেল তাহের ও তাঁর পরিবার তাঁদের ন্যায্য সম্মান ও মর্যাদা খুঁজে পাবেন।

XS
SM
MD
LG